মিছিলের নেতৃত্ব দেন বাম নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়-সহ জেলা ও রাজ্যস্তরের একাধিক DYFI নেতা। মিছিলে ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। প্রায় এক হাজার কর্মী সমর্থক এই প্রতিবাদ মিছিলে পা মিলিয়েছিলেন। পঞ্চায়েত স্তরে বিভিন্ন দুর্নীতি ও পঞ্চায়েত থেকে জেলা পরিষদ দফতরে চাকরির দুর্নীতির বিরুদ্ধে এই মিছিল ছিল বলে দাবি বাম নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের। হাওড়া জেলা পরিষদের সামনেই বামেদের মিছিল আটকাতে শুরু হয় ধুন্দুমার পরিস্থিতি। পুলিশের ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করেন আন্দোলনকারীরা। অন্যদিকে, পুলিশ মাইকিং করে আন্দোলনকারীদের শান্ত থাকার আবেদন জানাতে থাকে।
advertisement
আরও পড়ুন: লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়ে স্বাস্থ্য দফতরের চাকরি বিক্রি! এবার নজরে প্রকাশ সাহা
এরই মধ্যে কয়েকজন আন্দোলনকারী ব্যারিকেডের উপর উঠে জেলা পরিষদের দিকে যেতে গেলে তাঁদের টেনে নামিয়ে দেয় পুলিশ। অভিযোগ, সেখানেই হাওড়া সিটি পুলিশের কর্মরত এক পুলিশ কর্মীকে সজোরে চড় কষিয়ে দেন এক আন্দোলনকারী। এরপর আরও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ বামেদের চারজন প্রতিনিধিকে জেলা পরিষদে স্মারকলিপি জমা দিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেয়। এদিকে মিছিল আটকানোর প্রতিবাদে রাস্তায় বসে পড়ে মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়-সহ বাম নেতৃত্ব। মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের দাবি, 'আমরা এখন ডেপুটেশন দিচ্ছি, পঞ্চায়েত দফতর বা জেলা পরিষদ দুর্নীতি সামনে না আনে, তাহলে বড়সড় আন্দোলনে নামব।'
আরও পড়ুন: দশম শ্রেণি উত্তীর্ণদের জন্য সরকারি চাকরির দুর্দান্ত সুযোগ! অবশ্যই জানুন
তবে পুলিশকর্মীকে মারধরের ঘটনা অস্বীকার করেন মীনাক্ষী। পুলিশকে চড় মারার বিষয়ে জেলা বাম নেতৃত্ব নিন্দা করেছেন। তাঁদের দাবি সাদা পোশাকে থাকায় সমস্যা হয়েছে। বামেদের দাবি, পুলিশ কেন সাধারণ মানুষ কেও আক্রমণ মেনে নেওয়া যাবে না | একইসঙ্গে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তাঁরা। পুলিশ তৃণমূলের দলদাসের মতো কাজ করছে বলে অভিযোগ করেন বাম নেতৃত্ব।