ঘটনার পর থেকেই বন্ধুকে আটক করা হয়েছিল, তাকে টানা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। প্রথম থেকেই নির্যাতিতার এই বন্ধুর ভূমিকা নিয়ে সন্দেহ ছিল পুলিশের। পরে মঙ্গলবার নির্যাতিতার গোপন জবানবন্দি রেকর্ড করেন ম্যাজিস্ট্রেট। সূত্রের খবর, প্রথম দিন যে অভিযোগ পত্র মেয়েটি জমা দিয়েছিল. তাতে এই সহপাঠীর বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ ছিল না। মঙ্গলবার গোপন জবানবন্দীর সময় বেশ কিছু অভিযোগ তোলেন নির্যাতিতা। তার এবং তার বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হল নির্যাতিতার বন্ধু।
advertisement
আরও পড়ুন: ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে তিনটি গাড়ি! দুই ট্রাকের ধাক্কায় দু’দিক থেকে পিষে গেল বাস, আহত অনেকে
প্রসঙ্গত, আসানসোল–দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের কমিশনার সুনীল চৌধুরী আজ এক সাংবাদিক বৈঠকে দুর্গাপুরের মেডিক্যাল পড়ুয়া নির্যাতনকাণ্ড নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রকাশ করেন। তিনি জানান, ঘটনায় পাঁচজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং নির্যাতিতার বন্ধুর পোশাকও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ভিক্টিমের বয়ান অনুযায়ী, অভিযুক্তদের মধ্যে একজন ধর্ষণ করেছে বলে জানা গিয়েছে, তবে বাকিদের ভূমিকাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কমিশনার বলেন, “বন্ধুর ভূমিকাও সন্দেহের ঊর্ধ্বে নয়। তাঁকেও টানা জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তাই তাঁর জামা-কাপড় বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।”
পাশাপাশি জানা যায়, উদ্ধার হয়েছে নির্যাতিতার মোবাইল ফোন। বাকি প্রত্যেক অভিযুক্তের ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে জানান সিপি। তিনি আরও জানান, ঘটনায় ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৪(২), ৩০৮(২) এবং ৩১৮(২) ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। ভিক্টিমের গোপন জবানবন্দি ইতিমধ্যেই রেকর্ড করা হয়েছে। কমিশনার বলেন, “আমরা ভিক্টিমের পরিবারের সঙ্গে সবসময় যোগাযোগ রাখছি। প্রশাসন তাঁদের পাশে আছে।”