গত শুক্রবার রাতে নিজের সহপাঠী মালদহের বাসিন্দা ওয়াসিফ আলির সঙ্গে দুর্গাপুরের ওই বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের বাইরে বেরিয়েছিলেন ওই ছাত্রী৷ পুলিশের কাছে দেওয়া নির্যাতিতার বয়ান অনুযায়ী, সেদিন রাতে নিজের সহপাঠীর সঙ্গে খেতে বেরিয়েছিলেন তিনি৷
পুলিশ সূত্রের দাবি, ঘটনার দিন ওই ছাত্রীকে জোর করে জঙ্গলের মধ্যে নিয়ে যায় তাঁর ওই ওয়াসিফ আলি৷ সেখানেই সে ওই ছাত্রীর শ্লীলতাহানি করে বলে অভিযোগ৷ এই ঘটনার সময়ই ছাত্রীকে নির্যাতনে অভিযুক্ত তিনজন ঘটনাস্থলে হাজির হয়৷ ওই ছাত্রীকে নিজের পুরুষ বন্ধুর সঙ্গে দেখে ফেলে তারা৷ তখনই ছাত্রীর উপরে চড়াও হয় ওই তিন জন৷ ছাত্রীর মোবাইল কেড়ে নেয় তারা৷ এই সময়ই ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যায় ছাত্রীর সহপাঠী৷
advertisement
ওই ছাত্রীর ফোন কেড়ে নিয়ে শেখ রিয়াজউদ্দিন নামে এক অভিযুক্ত বার বার ওয়াসিফকে ফোন করতে থাকে৷ কিন্তু প্রথমে ফোন তোলেনি নির্যাতিতার ওই সহপাঠী৷ বারংবার ফোন করার পর শেষ পর্যন্ত ফোন ধরতে বাধ্য হয় ওয়াসিফ আলি৷
প্রথম থেকেই নির্যাতিতা ছাত্রীর এই সহপাঠীর ভূমিকা নিয়ে তদন্তকারীদের মনে সন্দেহ তৈরি হয়৷ তাকে একটানা জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ৷ গতকাল ওয়াসিফ আলি নামে নির্যাতিতার সহপাঠীকে ঘটনাস্থলে নিয়ে যায় পুলিশ৷ এর পরই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়৷ এ দিন আদালতে পেশ করা হলে তাঁকে সাত দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক৷