নতুন কিছুকে ক্যানভাস করে আঁকার শখ তাঁর। তাই দেশালাইয়ের কাঠি থেকে শুরু করে কখনো মাটির সরা, স্টিলের চামচ, একটাকার কয়েন, কখনো শঙ্খ, কখনো মুসুরডাল, কখনো আবার পাখির পালকের উপর তুলির টান সুশান্তের। বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন ছবি।কোথাও দূর্গার ছবি তো আবার কোথাও ফুটে উঠছে নেতাজী সুভাষচন্দ্র। তাছাড়াও স্টিলের চামচে মাছের ছবি, কাঠের পেঁচা, রবীন্দ্রনাথ, বিদ্যাসাগরের ছবি, এক একটি মুসুর ডালের ওপর রূপ পাচ্ছে জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার ছবি। আবার পাখির পালকের ওপর ফুটে উঠছে সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণ থেকে শুরু করে লতা মঙ্গেশকরের ছবি। ছোট থেকেই নতুন নতুন জিনিসের উপর নানা আঁকিবুঁকি তাঁর নেশা। ঘরের প্রতিটি তাক ভরেছে তার একের পর এক অনুপম শিল্পকর্ম। উৎসাহ জুগিয়েছেন বাড়ির লোকজন সহ সকলেই। পুজোর আবহাওয়ায় বিভিন্ন মাধ্যমে দেবীর রূপ ফুটিয়ে তুলতে নিমগ্ন সে। খুবছোট কোনো জিনিসের বা শস্যদানার উপর ফুটিয়ে তুলতে চান দেবীর মহিষাসুরমর্দিনী রূপ।
advertisement
সুশান্ত মণ্ডল জানান, "ছোট থেকেই আঁকতে ভালো লাগে। তাই নিজের মনেই ফেসবুক, ইউটিউব ও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট হওয়া বিভিন্ন ছবি দেখে ঠিক একই রকম কিছু বানানোর আগ্রহ থাকতো আমার । কিন্তু হয়তো তেমন পেরে উঠতাম না। তারপর আস্তে আস্তে বহু চেষ্টার পর তা সম্ভব হয়েছে। এখনও পর্যন্ত আমি ইউটিউব দেখার পর নিজের বাড়িতে সেগুলো বানানোর চেষ্টা করি। এতে বাড়ির লোকও খুব সহযোগিতা করেছে। আমি লকডাউন থেকেই শুরু করি এই কাজ। ইউটিউবে দেখার পর নিজের চেষ্টায় পালককে, একটাকার কয়েন, ছোটপাথর, সরা,করি ও চামচের ওপর ছবি আঁকার চেষ্টা করি।''
আরও পড়ুন: স্কুল বন্ধ, তাতে কী! এই বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী-শিক্ষকরা মিলে যে কাণ্ড ঘটালেন...
সুশান্তের সংযোজন, ''এছাড়াও মুসুরডাল, মুগডাল, পেপারকাটিং এর মাধ্যমে ঘোরার মুখ থেকে বিভিন্ন কবিদের মুখ তুলে ধরার চেষ্টা করি। সামনেই পুজো তাই দেশালাই কাঠির মধ্যেই মা দূর্গার ছবি ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছি। আমার এই কাজ অনেকে নিয়েও গেছে বাড়িতে সাজিয়ে রাখার জন্য। আমি নিজে পড়াশোনার পাশাপাশি এই ছবি আঁকাও চালিয়ে যাচ্ছি। অপেক্ষায় আছি যদি কোথাও কোন প্রদর্শনী বা প্রতিযোগিতা থাকে তাহলে অবশ্যই তাতে অংশগ্রহণ করব আমার নিজের তৈরি হাতের কাজ নিয়ে। আমাদের এই এলাকায় এই শিল্পের তেমন গুরুত্ব না থাকায় মানুষের মধ্যে আগ্রহ নেই। যার ফলে এর কোন গুরুত্বই পাওয়া যায় না।"
