প্রায় ৩০০ বছর আগে রায়চৌধুরী পরিবারের তৎকালীন জমিদাররা এই পুজো শুরু করেন। সেই সময় এলাকায় অন্য কোথাও দুর্গাপুজোর প্রচলন ছিল না। গ্রামবাসীদের ভক্তি ও আনন্দের কথা মাথায় রেখেই জমিদারবাড়ির কর্তারা দুর্গাপুজোর সূচনা করেন। আগে এক মাস আগে থেকেই ঘট উত্তোলন ও চণ্ডীপাঠের মধ্যে দিয়ে পুজো শুরু হয়ে যেত। সেবায়তদের পারিশ্রমিক হিসেবে দেওয়া হত চাষ করার জন্য জমি।
advertisement
সময়ের স্রোতে অনেক কিছুই বদলে গেছে। আজ আর এক মাস আগে থেকে আয়োজন শুরু হয় না, মাত্র এক সপ্তাহ আগে ঘট উত্তোলন ও চণ্ডীপাঠের মাধ্যমে পুজো শুরু হয়। জমির পরিবর্তে এখন সেবায়েতদের অর্থ প্রদান করা হয়। পরিবারের সদস্যরা কর্মসূত্রে বাইরে থাকলেও দুর্গোৎসবের ক’টা দিন সকলে একসঙ্গে বাড়ি ফিরে আসেন। স্থানীয় মানুষও সমান আগ্রহ নিয়ে অংশ নেন এই পুজোতে।
আরও পড়ুন : জলঘড়ি দেখে পালিত অষ্টমীর আচার, এই গ্রামে দুর্গাপুজো অনুষ্ঠিত হয় এক বিশেষ রীতিতে
জমিদারি নেই, নেই সেই পুরনো জাঁকজমকও। তবুও বাল্যগোবিন্দপুরের রায়চৌধুরী বাড়ির দুর্গাপুজো আজও টিকে আছে প্রায় ৩০০ বছরের ঐতিহ্য নিয়ে। প্রাচীন নিয়মের প্রতি ভক্তি আর আবেগই এই পুজোর আসল শক্তি। তাই সময়ের পরিবর্তন সত্ত্বেও দুর্গাপুজোর আনন্দে বছর বছর মেতে ওঠেন এলাকার মানুষ এবং পরিবারের সদস্যরা। এই পুজো কেবল একটি ধর্মীয় আয়োজন নয়, বরং তিন শতকেরও বেশি সময় ধরে গ্রামীণ সংস্কৃতির অমূল্য উত্তরাধিকার।