পুজোর বাজেট প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা। মূলত থিম নির্মাণ, আলোকসজ্জা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং সাংস্কৃতিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় এই অর্থ খরচ করা হবে। চতুর্থী থেকে একাদশী পর্যন্ত নানা আয়োজনের সঙ্গে এই পুজো চলবে। প্রতিদিন থাকবে বিশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন। উপস্থিত হবেন স্থানীয় ও বহিরাগত খ্যাতনামা শিল্পীরা। এছাড়াও প্যান্ডেলের চারপাশে থাকবে রঙিন ফুড স্টল, শিশুদের জন্য খেলার ব্যবস্থা। সেই সঙ্গেই মণ্ডপের দুর্দান্ত আলোকসজ্জা দর্শকদের নজর কেড়ে নেবে।
advertisement
এই পুজো ঘিরে এলাকাবাসীর মধ্যে উচ্ছ্বাস লক্ষ্যণীয়। প্রতিদিন প্যান্ডেলের সামনে দর্শকদের ভিড় বাড়ছে। বিশেষত শিশুদের মধ্যে এই বিদেশি থিমের পুজো দেখার জন্য প্রচুর আগ্রহ চোখে পড়ছে। দর্শনার্থীরা প্যান্ডেলের ভিতর ঢুকেই হোয়াইট হাউস ও লন্ডন ব্রিজের মধ্য দিয়ে যেন এক নতুন জগতে চলে যাচ্ছেন। প্রতিটি কোণেই আলোকসজ্জা, রঙিন বাতাসে ঝুলন্ত ফুল এবং সৃজনশীলভাবে সাজানো থিম দর্শকদের মুগ্ধ করছে।
এই বছর পুজোর বিশেষ আকর্ষণ হল বেলদা-কাঁথি রাজ্য সড়ক দিয়ে বালিঘাই বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছে লন্ডন ব্রিজ পার হয়ে হোয়াইট হাউস দেখা। গ্রামীণ পর্যটকরা বিষয়টি অত্যন্ত আগ্রহ সহকারে উপভোগ করছেন। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, তাঁরা এই প্রথম আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা পেয়েছেন। ছোট থেকে বড়, সব বয়সী মানুষ এই পুজোর সৌন্দর্য এবং থিম উপভোগ করতে ভিড় করছেন।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
বালিঘাই পুজো এবার শুধু ধর্মীয় আচারকেই কেন্দ্রবিন্দু করে রাখেনি। বরং এটি গ্রামীণ পর্যটন, সাংস্কৃতিক উদযাপন এবং সামাজিক বিনোদনের একটি মিলিত উৎসবেও পরিণত হয়েছে। হোয়াইট হাউস এবং লন্ডন ব্রিজের থিমের সংমিশ্রণ গ্রামবাসীর মধ্যে উৎসবের আনন্দকে দ্বিগুণ করেছে। দর্শনার্থীরা প্যান্ডেলে প্রবেশ করলে বুঝতে পারবেন, ৫০ বছরের এই পুজো শুধু একটি ধর্মীয় উৎসব নয়, এটি একটি আন্তর্জাতিক ভ্রমণকেন্দ্রের অভিজ্ঞতাও দিচ্ছে।