আরও পড়ুনঃ এই জিনিসগুলো সরিয়েছেন তো? না হলে সমস্যা বাড়তে পারে, জেনে নিন কীভাবে ঘর পরিষ্কার করবেন মহালয়ার আগে
এই শিল্পটাকে তাঁরা সবাই ভালবাসে, আর সেখান থেকেই কাজের প্রতি আগ্রহ। এই কাজ করে তাঁরা তাঁদের পড়াশুনার খরচ নিজেরাই জোগাড় করছে। তাঁদের দাবি এই কাজ পুরুষদের হলেও কোনও মহিলা যদিও নিজের ইচ্ছে থাকে তবে সব কিছুই করা সম্ভব। আগামী দিনে এই কাজ তাঁরা এগিয়ে নিয়ে যেতে চান। এই কাজ দিয়ে তাঁরা তাদের ভবিষ্যত গড়তে চান।
advertisement
অন্য জেলা থেকে এসে একসঙ্গে হাতেহাত মিলিয়ে পড়াশোনার ফাঁকে তারা এই কাজ করছেন। তাঁরা বলছেন, এখন মানুষ বন্য প্রাণী নিয়ে ভাবছে না, গাছপালা কেটে কংক্রিটের শহর তৈরী হচ্ছে। তাতে বন্য প্রাণীদের বাসস্থান হারিয়ে যাচ্ছে। মায়ের কাছে তারা আর্তনাদ জানাচ্ছে তাদের বাসস্থান ফিরিয়ে দিতে। এই চিন্তাভাবনা থেকেই তাঁদের এই কাজ।
মা আসছে। আর মায়ের থাকার জন্য এক ভিন্ন আঙ্গিকের বাড়ি তৈরি করছেন মেয়েরা। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে মায়ের বাড়ি তৈরি করার জন্য ছুটে এসেছে সুকৃতি শম্পা ও রাখিরা। এ যেন এক অন্য দুর্গাদের কথা। তাঁরাও যেন দশভূজা। একদিকে পড়াশোনা ও পাশাপাশি এই কাজ করে তাদের পড়াশোনার খরচ চালানো। অন্যদিকে তাঁরা সমাজকে বার্তা দিতে চায় নারী-পুরুষ আর ভেদাভেদ নয়।
দুর্গাপূজা মানে শুধু উৎসব নয়, শিল্প আর ঐতিহ্যের মেলবন্ধন। আর এই ঐতিহ্যের কেন্দ্রে থাকা মণ্ডপ তৈরির কাজে এবার এক ব্যতিক্রমী দৃশ্য চোখে পড়ছে বর্ধমানে। এতদিন মণ্ডপ তৈরির কাজ মানেই মনে করা হত এটা মূলত পুরুষদের কাজ। কারণ কখন বাঁশে চড়ে তো আবার কখন ঝুঁকি নিয়ে অনেকটা উচ্চতায় উঠে কাজ করতে হয় শিল্পীদের। কিন্তু এবার বদলে গেছে সেই চেনা ছবিটা। পুজোর এই কর্মযজ্ঞে পুরুষদের পাশে দাঁড়িয়ে সমান তালে কাজ করছে মেয়েরাও। তাঁদের চোখেমুখে নেই ক্লান্তি ,আছে কাজের প্রতি গভীর নিষ্ঠা আর ভবিষ্যতের স্বপ্ন। তাঁরা শুধু একটা কাঠামোই বানাচ্ছে না, বরং নিজেদের ভবিষ্যৎও গড়ছেন।