আরও পড়ুনঃ পুকুরে ত্রিপলে মোড়া কী যেন ভাসছে! কাছে যেতেই বুক কেঁপে উঠল সকলের, একরত্তির এমন নৃশংস পরিণতি করল কে?
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরা, কাঁথি, তমলুক ও হলদিয়া-সহ প্রান্তের বিভিন্ন বাজারে দুর্গা পুজোর কেনাবেচা চলছে। পোশাক আশাকের জেলার সবথেকে বড় পাইকারি ও খুচরা বাজার হল তমলুকের রাধামনি বাজার। ১১৬ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশেই এই বাজার। পুজো উপলক্ষে এই বাজারে দারুণ ভিড়। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ কেনাকাটা করতে আসছেন এই বাজারে। বিভিন্ন ধরনের শাড়ি থেকে রেডিমেড পোশাকের সম্ভার সাজিয়ে বসেছে দোকানদারেরা। বড় ছোট দোকান মিলিয়ে প্রায় দু থেকে তিন হাজার দোকান রয়েছে এই বাজারে। দোকানগুলিতে উপচে পড়া ভিড়ে হাসি ফুটিয়েছে দোকানদারদের মুখে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ জঙ্গলমহলের হারিয়ে যাওয়া গাছ রক্ষা করতে অভিনব উদ্যোগ বনবিভাগের! পড়ানো হল জীববৈচিত্রের পাঠ
রাধামনি বাজার কমিটির অন্যতম সদস্য অতনু কুমার বেরা জানান, ‘রাধামনি বাজার শাড়ি ও রেডিমেট পোশাকের অন্যতম বড় বাজার। পূর্ব পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, হাওড়া ও হুগলি এমনকি ভিন রাজ্য ওড়িশার বিভিন্ন প্রান্তের মানুষজন পুজোর সময় কেনাকাটা করতে আসেন এখানে। বর্তমানে অনলাইনে কেনাকাটার ঝোঁক থাকলেও চলতি বছর পুজোর কেনাকাটা করতে দোকানে দোকানে সাধারণ মানুষ ভিড় করেছেন। রাধামনি বাজারের ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় দুই থেকে তিন হাজার দোকান রয়েছে। পুজোর কেনাকাটার ভিড় লেগেছে। শেষ বছর দুর্গাপুজোর সময় প্রায় ১০০ কোটি টাকার বেচাকেনা হয়েছিল। এবার তা ছাড়িয়ে যাবে ১৫০ কোটিতে’।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
রাধামনি বাজারে প্রতিদিন দূর দুরান্ত থেকে মানুষজনেরা পুজোর পোশাক কিনতে আসছেন। পুজোর পোশাক কিনতে আসা ক্রেতাদের বক্তব্য, অনলাইনে ছবি দেখে জিনিস কিনতে হয়। বহু সময় ঠকে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। দোকানে এসে হাতে পরখ করে জিনিস কেনাটাই ভাল। বৃষ্টি মাথায় নিয়েই চলছে কেনাকাটা। দোকানে দোকানে উপচে পড়া ভিড় হাসি ফুটিয়েছে দোকানদারদের মুখে। কারণ শেষ কয়েক বছর অনলাইন শপিং দুর্গাপুজোয় মুখের হাসি কেড়ে নিয়েছিল এইসব ব্যবসায়ীদের। পুজোর কেনাকাটায় দোকানে দোকানে চেনা ভিড় ফিরতেই খুশির হাওয়া বাজার জুড়ে।