পূর্ব বর্ধমানের গুসকরা থেকে পাঁচ কিলোমিটার গেলেই দিকনগর গ্রাম। এখানেই জলাশয়ের মাঝে জলটুঙ্গি। বর্ধমানের মহারাজ কীর্তিচাঁদ এই জলটুঙ্গি তৈরি করেছিলেন। জলটুঙ্গির আর এক নাম চাঁদনি। গ্রামের শেষে নিরালায় পার বাঁধানো জলাশয়। হরিণের কাজল কালো চোখের মতো টলটলে তার জল। তার মাঝে অনুপম এই জলটুঙ্গি। এখানে চাঁদনি রাতে গানের আসর বসাতেন মহারাজা। দেশের নামী শিল্পীদের নিয়ে আসা হতো। সুরের মূর্ছনায় ভেসে যেত রাত। আজও জোৎস্না রাতে আলাদা রূপে ধরা দেয় চাঁদনি। শহরের কোলাহল ভোলাবে শান্ত নিরিবিলি এই হাওয়া মহল।
advertisement
আরও পড়ুন: হুমকি চিঠি নিয়ে বিচারকের কাছেই মুখ খুললেন অনুব্রত মণ্ডল, তোলপাড় পড়ল বাংলায়
কাছেই জঙ্গলে ঘেরা ভালকি মাচান। শাল পিয়ালের মাঝ দিয়ে চলে গিয়েছে ঝা চকচকে পিচ রাস্তা। সেই রাস্তা র ওপরেই মাচান। এখানে রাজা সুউচ্চ স্তম্ভের ওপর উঠে জঙ্গলের শোভা দেখতেন। এখান থেকে চলতো শিকারও। সবুজ বনানী, পাখিদের কলকাকলি আপনাকে মুগ্ধ করবে।
আরও পড়ুন: লুকিয়ে ছিলেন কলকাতার হাসপাতালে! অনুব্রতকে বাবা ডাকা সেই বিদ্যুৎবরণ গায়েন সিবিআই-জালে
এখন মনে হতেই পারে কি ভাবে যাবেন, কোথায় থাকবেন। তাইতো? প্রথমে বলা যাক কি ভাবে যাবেন- হাওড়া থেকে ট্রেনে চড়ে কর্ড বা মেন লাইনে চলে আসুন বর্ধমান স্টেশনে। সেখান থেকে রামপুরহাট শাখায় গুসকরা স্টেশনে নেমে সহজেই পৌঁছে যাওয়া যায় দিকনগর। সড়ক পথে দু নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে গলসি হয়ে তিন ঘন্টার পথ।
থাকবেন কোথায়- গুসকরায় রয়েছে পথসাথী। ঘরভাড়া এক হাজার টাকা( এসি)
ভালকিমাচানেও রয়েছে বেসরকারি অতিথি নিবাস। খাওয়ার ব্যবস্থাও রয়েছে। ভালকিমাচানের কাছেই রয়েছে মৎস্য দফতরের যমুনা দিঘি অতিথি নিবাস।