বৈকুন্ঠপুরের জয়দুর্গা পুজো পাঁচশো বছরেরও বেশি পুরনো। শুরুর দিনে প্রতিষ্ঠা করা মাটির প্রতিমায় পুজো হয় আজও। এখানে প্রতিমার বিসর্জন নেই। নির্দিষ্ট সময় অন্তর প্রতিমার অঙ্গরাগ হয়।
আরও পড়ুন Durga Puja 2022| Photo: এবার পুজোর লেটেস্ট ককটেল শাড়ি, অভিনব ভাবনা Ummaira-র
প্রথম এক তান্ত্রিক পুজো শুরু করেন। তিনি ভক্তি ঘরে পুজো করতেন। লোককথা,তিনি দেবীর স্বপ্নাদেশ পেয়ে বাঁকা নদী থেকে প্রতিমা তুলে এনে তাল পাতায় ছাওয়া ঘরে দেবীকে প্রতিষ্ঠা করে পুজো শুরু করেন। এরপর দেবীর স্বপ্নাদেশ পেয়ে জঙ্গলে গিয়ে রাজা কীর্তিচাঁদ সেই ঘর খুঁজে পান। তিনি জয়দুর্গার মন্দির গড়ে দিয়ে পুজোর বন্দোবস্ত করেন। তান্ত্রিক মৃত্যুর আগে বৈকুন্ঠপুরের তিনকড়ি বন্দ্যোপাধ্যায়কে পুজোর দায়িত্ব দিয়ে যান। সেই সূত্রে এগারো পুরুষ ধরে বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবার এই পুজো করে আসছে।
advertisement
অতীতের প্রথা মেনে তন্ত্র মতে এখানে পুজো হয়। পুজোর প্রতি দিন ভোগে মাছের টক থাকা বাধ্যতামূলক। দশমীতে ঘট বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শারদীয়া দুর্গোৎসবের সমাপ্তি ঘটে। পরদিন থেকে ফের নিত্যপুজো শুরু হয়। সারা বছর দিনে অন্নভোগ সন্ধ্যায় শীতল ভোগ নিবেদন করা হয়।
আরও পড়ুন Durga Puja 2022| Photos: এবার পুজোয়ে ট্রেন্ড রুপোর গয়না, চলে আসুন গড়িয়াহাটের এম বণিকে
পরিবারের সদস্যরা কাজের প্রয়োজনে দেশ বিদেশে ছড়িয়ে থাকলেও পুজোর দিনগুলোয় সবাই সপরিবারে উপস্থিত হন। আড্ডা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান,পঙতি ভোজে জমজমাট থাকে মন্দির চত্ত্বর।
পরিবারের সদস্যরা বলছেন, প্রথম থেকেই জাঁকজমকের থেকে নিষ্ঠাকেই বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে এই পুজোয়। প্রথম থেকেই সেই রীতি মেনেই পুজো চলে আসছে। যেহেতু বর্ধমানের মহারাজা এই পূজার অন্যতম পৃষ্ঠপোষক ছিলেন তাই আজও রাজা কীর্তি চাঁদের নামেই এই পুজোর সংকল্প হয়।