ওদের কাছে পুজো মানে পেটপুজো। দুগগার জন্যই বছরভর অপেক্ষা। এই সময়েই তো সিজন। বনেদি পরিবারের অন্দর হোক বা বারো-ইয়ারির হট্টমেলা। দু-বেলা কবজি ডুবিয়ে খাওয়ার আয়োজন। মহালয়ার পর-পরই চন্দননগর, গুসকরা, আউশগ্রাম-সহ বিভিন্ন গ্রাম থেকে ডাক পড়ে পাকা রাঁধুনিদের। পঞ্চমী থেকেই শুরু ব্যস্ততা।
মণ্ডপে যখন জনজোয়ার। তখন মণ্ডপ লাগোয়া এক চিলতে ঘেরা জায়গায় নিঃশব্দে চলে পেটপুজোর আয়োজন। হাতা, খুনতি, কড়াই, শিলনোড়া, বঁটির সঙ্গেই কখন যেন কেটে যায় পুজো। তাঁদের রান্নার প্রশংসায় যখন সকলে পঞ্চমুখ। তখন ঘরে রেখে আসা সন্তানের জন্য মন কেমন করে ওঠে। হলুদ-লাগা পুরোন শাড়ি পড়া স্ত্রীর শুকনো মুখটা ভেসে ওঠে চোখের সামনে।
advertisement
ছুটি মেলে দ্বাদশীতে। কিংবা লক্ষ্মীপুজোর পর। স্ত্রী, সন্তানের জন্য নতুন জামাকাপড় কিনে ঘরের পথ ধরেন ভজহরি মান্নারা। দুগগার উৎসব নাই বা হল। ঘরের লোক ঘরে ফিরলে শুরু হয় আসল উৎসব।