সূত্রের খবর, হাওড়া স্টেশন থেকে ট্রেনটি ছাড়া পর কোনও সমস্যা ছিল ট্রেনটির। বেলা ১২ টা নাগাদ পূর্ব মেদিনীপুরের ভোগপুর স্টেশনের কাছে শব্দ করে ট্রেনটি দাঁড়িয়ে যায়। ট্রেনের এসি ঠিকভাবে কাজ না করায় নাজেহাল অবস্থা হয় যাত্রীদের।
আরও পড়ুন: অবসরে নাটক আর পেশা ছিল মোবাইলের সিম বিক্রি, সেই শান্তনু এখন রেস্তরাঁর মালিক, রহস্য!
advertisement
অন্যদিকে কল্যাণী থেকে নৈহাটি পর্যন্ত থার্ড লাইন, স্বয়ংক্রিয় সিগন্যাল, নন ইন্টারলকিং কাজের জন্য ট্রেন পরিষেবা চূড়ান্ত বিপর্যস্ত। দোলের দিন থেকে ট্রেন বাতিল ও নিয়ন্ত্রণের কারণে ট্রেন লেট চলছিলই৷ আর শুক্রবার রাত থেকে তা দুর্ভোগে রূপান্তরিত হল। শনিবার সকাল থেকে শিয়ালদহ মেন লাইনের বিভিন্ন স্টেশনে ঘন্টার পর ঘন্টা হাপিত্যেশ করে বসে রইলেন রেল যাত্রীরা।
তীর্থের কাকের মতো ট্রেনের দেখা মিললেও সেই ট্রেনে ওঠার জো ছিল না বেশিরভাগ যাত্রীরই। কারণ অসম্ভব ভিড়। শনিবার সকাল চারটে থেকে আটটা পর্যন্ত মাত্র তিনটি ট্রেন ডাউন লাইনে চলেছে। নৈহাটি, ইছাপুর, কাকিনাড়া, জগদ্দল, শ্যামনগর, পলতা, ব্যারাকপুর, টিটাগর, খড়দহ, সোদপুর, আগরপাড়া, বেলঘড়িয়া, একের পর এক স্টেশনে শুধু মানুষের মাথা। ট্রেন না পেয়ে অনেকেই বাসের ভরসায়। আর বাসেও বাদুড়ঝোলা ভিড়।
শুক্রবার রাতে অনেকেরই এমন অবস্থা গেছে যে শিয়ালদহ থেকে কল্যাণী পৌঁছতে ছ’ঘন্টা কেটে গিয়েছে। আগামিকাল রোববার ছুটির দিন হওয়ায় অফিস যাত্রীদের সেইভাবে হয়তো ঝক্কি পোহাতে হবে না, কিন্তু আগামী সোমবার এবং মঙ্গলবার কী হতে চলেছে, সে ভেবেই অস্থির প্রত্যেকে।