কয়েকদিন ধরে রামদাসপুর গ্রামে শিশুদের স্বাস্থ্য সমীক্ষার কাজে গিয়ে স্বাস্থ্য দফতরের আশা কর্মী পরিবারের সদস্যদের আধার কার্ড, ভোটার কার্ড সহ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নিয়েছিলেন। গ্রামবাসীদের অনেকেই স্বাস্থ্যকর্মীর চাহিদামত নিজেদের আধারকার্ড, ভোটার কার্ড-সহ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট এমনকি মোবাইল নম্বর সবই নথিভুক্ত করান। আজ ছিল গ্রামে টিকাকরিণের দিন। আজ সকাল ৯ টা নাগাদ আনারকলি বিবি মল্লিক,
advertisement
সুমিতা ঘোষ ও মণিকা সাহানা গ্রামে গিয়ে মাঝের পাড়ার টিকাকরণের জন্য নির্ধারিত ঘরে বসেন ৷ সেখানেই গ্রামবাসীরা ঘরটি ঘেরাও করে স্বাস্থ্যকর্মীদের আটকে বিক্ষোভ দেখায়।
গ্রামবাসীদের দাবি, গত কয়েকদিন ধরে আশাকর্মী আনারকলি বিবি মল্লিক যে খাতায় আধারকার্ডের নম্বর, ভোটারকার্ডের নম্বর-সহ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর লিখে রেখেছিলেন, সেই নীল খাতার তাঁদের ফেরত দিতে দিতে হবে। গ্রামবাসীরা এনআরসি আতঙ্কের কাজ হচ্ছে মনে করে খাতা ফেরতের দাবি করছিল।
ঘন্টা তিনেক পর গাজীপুর পঞ্চায়েত থেকে অভিযুক্ত স্বাস্থ্য কর্মীরা খাতা এনে গ্রামবাসীদের বোঝাবার চেষ্টা করলেও কিছু কাজ হয় নি। পরে কাটোয়া দু’নম্বর ব্লক থেকে স্বাস্থ্য কর্মীরা পঞ্চায়েতের কর্মীদের নিয়ে গিয়ে গ্রামবাসীদের বোঝালে আটকে থাকা তিন স্বাস্থ্যকর্মীকে রেহাই দেওয়া হয়। গ্রামবাসীদের দাবি, স্বাস্থ্য সমীক্ষার জন্য এই কাজ হচ্ছে তা একবারের জন্যও তাঁদের বলা হয় নি। পঞ্চায়েতের কর্তাদের দাবি স্বাস্থ্যদফতর গ্রামে এই ধরনের কাজে আশাকর্মীদের পাঠাচ্ছে সেরকম আমাদের জানানো হয়নি। এনআরসি আতঙ্কের জেরেই এই ধরনের ঘটনা ঘটে গিয়েছে।