বাঁকুড়ার পুর এলাকার জুনবেদিয়া এবং শহর লাগোয়া কেশিয়াকোলে দুটি বাড়ি মুহূর্তের মধ্যে মানচিত্র থেকে উধাও হয়ে গেল! হড়পা বানে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল দোতলা বাড়ি, কয়েক মুহূর্তের মধ্যে ভেসে গেল জলে! । অথচ সকাল নটা পর্যন্ত এমন পরিস্থিতি ছিল না। গন্ধেশ্বরীতে জল থাকলেও বিপদের ইঙ্গিত পাননি স্থানীয়রা। সাড়ে নটা নাগাদ আচমকা গন্ধেশ্বরীতে জলস্তর বেড়ে যায়। বাড়তে থাকে জলের গতিবেগ । জলমগ্ন হয় বেশ কিছু এলাকা।
advertisement
এর কিছু পরেই জুনবেদিয়ার এই বাড়িটি তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে। স্থানীয়দের অনুমান, গন্ধেশ্বরীরর জল ব্যাক ফ্লো করায় এই পরিস্থিতি। গন্ধেশ্বরী ও দ্বারকেশ্বর নদের জলে বন্দি বাঁকুড়া শহরের একাধিক ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। কোথাও হাঁটু, কোথাও কোমর বা বুক সমান জল। বিপদ আঁচ করে নীচু এলাকা থেকে মালপত্র নিয়ে বেরিয়ে পড়েন শতাধিক মানুষ। তারা এলাকার স্কুলগুলিতে আশ্রয় নিয়েছেন। প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চেয়ে জুনবেদিয়ার বাসিন্দারা বাঁকুড়া-দুর্গাপুর রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান।
বেশ কিছু এলাকায় সরকারি আধিকারিকরা পৌঁছেছেন। দমকল কর্মীরা জল বের করার কাজে হাত লাগিয়েছেন। বাঁকুড়ার জেলাশাসক পরিস্থিতির উপর নজর রেখেছেন। এদিন বেলার দিকে বাঁকুড়া শহরে বৃষ্টি কমায় কিছুটা স্বস্তি মিলেছে। তবে ফের বৃষ্টি হলে বিপদ বাড়বে বলে আশঙ্কা করছেন নদীপারের বাসিন্দারা।
বাঁকুড়া থেকে মৃত্যুঞ্জয় দাস, নিউজ18 বাংলা
আরও পড়ুন-ওভারহেডের তার ছিঁড়ে বিপত্তি, হাওড়ায় ব্যাহত ট্রেন চলাচল