মনোয়ারা দেবী ও তাঁর স্বামী কলকাতায় থাকেন। সেখানে তাঁদের ছেলেমেয়েও থাকে। মেয়ে বিবাহিত। এসআইআর, পেনশন ও ব্যাঙ্ক সংক্রান্ত কাজে একমাস আগে ওই দম্পতি গ্রামের বাড়িতে এসেছিলেন। তাঁদের দেখভালের জন্য আয়া আমবিয়া বিবিকে পাঠিয়েছিলেন দম্পতির মেয়ে।
গতকাল আয়ার কাজের মেয়াদ শেষ হয়। বেতন নিয়ে বিবাদ হয় মনোয়ারা বেগমের সঙ্গে। এরপর ভোর রাতে বাইরে থেকে লোক আনিয়ে ওই আয়া বৃদ্ধাকে খুনের চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। ওই আয়া নিজেকে আড়াল করতে গল্প সাজিয়েছিল বলে প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে পুলিশ। এ দিন ভোর রাতে ওই আয়া কলকাতায় দম্পতির মেয়েকে ফোন করে জানায়, মাঝরাতে দরজার কড়া নাড়া শুনে মানোয়ারা বেগম দরজা খোলে। এর পরই মুখে কাপড় বাঁধা কয়েকজন দুষ্কৃতী ঢুকে পড়ে। তারা আলমারির চাবি চাইলে বৃদ্ধা তা দিতে অস্বীকার করেন। তার জেরে দুষ্কৃতীরা তাঁকে মারধর করে। যদিও আয়া ঘটনার নজর অন্যদিকে ঘোরাতে এই গল্প ফেঁদেছে বলেই মনে করছে পুলিশ।
advertisement
আয়ার কাছ থেকে ফোন পেয়ে ওই দম্পতির মেয়ে ভাতারে তাঁদের অন্যান্য আত্মীয়দের বিষয়টি জানান। তাঁরা গিয়ে বৃদ্ধাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন ও পুলিশে খবর দেন। মঙ্গলবার গলসি থানার পুলিশ অভিযুক্ত আয়াকে গ্রেফতার করে বর্ধমান আদালতে পেশ করে পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানালে বিচারক তিনদিনের পুলিশ হেফাজত মঞ্জুর করেন।
