তখন দুপুর আড়াইটে। হঠাৎই ছোগাড়া তারা রঙ্গিলা তারা গানে মুখরিত বর্ধমানের কার্জনগেট সংলগ্ন জিটিরোড। সবাইকে অবাক করে রাস্তায় নেমে পড়েছেন একদল তরুণ তরুণী। সকলেরই পরনে কালো প্যান্টের ওপর আকাশি টি শার্ট। গানের তালে নাচছেন তাঁরা পেশাদারি ঢঙে। স্বতঃস্ফূর্ততা তাদের প্রতিটি পদক্ষেপে।
নেচে বর্ধমান শহর মাত করে দেওয়া তরুণ তরুণীরা সকলেই বর্ধমান ডেন্টাল কলেজ ও হাসপাতালের চিকিৎসক। বর্ধমান ডেন্টাল কলেজের বাৎসরিক অনুষ্ঠান সেনসেশন ২0২০ অনুষ্ঠিত হবে শীঘ্রই। তারই প্রচারে এই উদ্যোগ।
advertisement
নাচে অংশ নেওয়া চিকিৎসক প্রত্যয়ী মন্ডল বললেন, ‘‘ডাক্তাররাও মানুষ। তারাও কাজের বাইরে নাচ গান করে। সাধারণ মানুষের সঙ্গে ডাক্তারদের সম্পর্ক আরও সহজ করতেই এই ফ্ল্যাস ডান্স।’’ চিকিৎসক আমদাদুল হকের কথায়, ‘‘ডাক্তারদের সঙ্গে রোগীদের সম্পর্ক নিবিড় করতেই সকলের মাঝে আসা। আর এই ফ্লাস মবের মাধ্যমেই আমাদের বাৎসরিক অনুষ্ঠান শুরু হয়ে গেল বলা যেতে পারে।’’
ডাক্তারদের নাচ এখন শহরজুড়ে বাসিন্দাদের মুখে মুখে ঘুরছে। তাঁরা বলছেন, ডাক্তার মানেই বুকে স্টেথো লাগানো সাদা অ্যাপ্রনের গম্ভীর মুখের ছবিই চোখের সামনে ভেসে ওঠে। তাঁরা যে এত সুন্দর সাবলীল ভাবে নাচতেও পারেন তা ভাবাই যায়নি।
Saradindu Ghosh
