#বর্ধমান: লকডাউনের জেরে চেম্বারে ডাক্তারবাবুর দেখা মিলছে না। সমস্যায় পূর্ব বর্ধমান জেলার বাসিন্দারা। রোগী ভর্তি নিচ্ছে না অনেক নার্সিংহোমও। কারণ, তাঁরাও বলছেন, আসছেন না চিকিৎসকরা। কর্মীর সংখ্যাও কম। চিকিৎসকদের চেম্বার কম থাকার কারণে রোগীর আনাগোনা কমে যাওয়ায় বন্ধ বর্ধমানের বেশিরভাগ প্যাথোলজি সেন্টারও। এক্স রে থেকে শুরু করে রক্ত পরীক্ষার জন্য রোগী ও তাঁদের আত্মীয়দের হন্যে হয়ে ঘুরতে হচ্ছে। অনেক বয়স্কই হৃদরোগ সহ নানা কারণে অসুস্থ হচ্ছেন। তখন তাঁদের চিকিৎসা পরিষেবার আওতায় আনতে রোগীর আত্মীয়দের চরম সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।
advertisement
বর্ধমানের খোসবাগানে কয়েক শো ডাক্তারের চেম্বার রয়েছে। সারাদিন সেখানে প্রাইভেট প্রাকটিস চলে। লকডাউন শুরু হওয়ায় পর থেকেই চেম্বারগুলিতে আসছেন না চিকিৎসকরা। কোনও রকমে গাড়ি জোগাড় করে বা অ্যাম্বুলান্সে রোগী এনে আত্মীয় পরিজনরা দেখছেন ডাক্তারবাবুর চেম্বার বন্ধ। অনেকের রুটিন চেক আপ রয়েছে। তাঁদেরও একই সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। ডাক্তারবাবু যে ওষুধ লিখেছিলেন তা চলবে নাকি বন্ধ করতে হবে, নাকি ওষুধের বদল প্রয়োজন তা বুঝে উঠতে পারছেন না অনেকেই।
লকডাউনের শুরুতে জেলা প্রশাসন চিকিৎসকদের সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলায় সহযোগিতার জন্য বৈঠক করেছিল। চেম্বারে যাতে ভিড় না হয়, যাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় থাকে তা নিশ্চিত করার আর্জি জানিয়েছিল প্রশাসন। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, বেশিরভাগ চিকিৎসকই চেম্বারমুখো হননি। রোগীর আত্মীয়রা বলছেন, বাস ট্রেন বন্ধ। বাইরে থেকে রোগী কম আসবে বুঝে গিয়েছেন ডাক্তারবাবুরা। পসার জমবে না বুঝেই চেম্বারে আসছেন না তাঁরা। অনেক চিকিৎসক করোনা সংক্রমণের আশঙ্কায় নার্সিংহোমে যাওয়াও বন্ধ করে দিয়েছেন। কেউ কেউ আবার দিনে দু’বারের জায়গায় একবার করে নার্সিংহোমে রাউন্ড দিচ্ছেন। ডাক্তারবাবুর আসা যাওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়ায় রোগী ভর্তি নিচ্ছে না অনেক নার্সিংহোম। সব মিলিয়ে এখন রাত বিরেতে কারোর কিছু হলে চিকিৎসা করানোই দায় হয়ে উঠছে।