চিকিৎসকের মৃত্যুতে রহস্য। তমলুকের নার্সিংহোম থেকে বাড়ি ফিরে অসুস্থ হয়ে পড়েন অ্যানাস্থেসিস্ট শালিনী দাস। পরিবারের দাবি, তাঁর ডান হাতে চ্যানেল করা ছিল। মাটিতে পড়ে যাওয়ায় সেখান থেকে রক্ত বের হচ্ছিল। হাসপাতালে নিয়ে গেলে বাঁচানো যায়নি। পরিবারের প্রশ্ন, ডিউটিতে যাওয়ার সময় সুস্থ ছিলেন শালিনী। তাহলে হাতে চ্যানেল কেন?
কাঁথি হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যুর তদন্তে দুই সদস্যের প্রতিনিধি দল নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তের রিপোর্ট বলছে, সাডেন কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট বা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হওয়ার সম্ভাবনার তথ্য সামনে আসছে। তবে এখনও পর্যন্ত ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে এসে পৌঁছায়নি। নন্দীগ্রাম স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জানান, ” ওঁর কাজের জায়গা ভাল ছিল। কাজের চাপে অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা নেই। ” ডা: অসিত কুমার দেওয়ান আরও জানান, ” চিকিৎসকের মৃত্যুর ঘটনা সংক্রান্ত রিপোর্ট ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্য দফতর থেকে তলব করেছে। গতকাল চিকিৎসকের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে। মায়ের অসুস্থতা নিয়ে মৃত চিকিৎসক শালিনী দাস বেশ চিন্তিতই ছিলেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
advertisement
পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি মহকুমা হাসপাতাল। এখানকার চিকিৎসক শালিনী দাস। অ্যানাস্থেসিস্ট। থাকতেন তমলুকের ভাড়া বাড়িতে। তাঁর মৃত্যু ঘিরে রহস্য। কাঁথি মহকুমা হাসপাতালের পাশাপাশি তমলুক এবং মহিষাদলের দু’টি নার্সিংহোমেও কাজ করতেন শালিনী। পরিবারের দাবি, শুক্রবার সুস্থ অবস্থায় বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। মহিষাদল এবং তমলুকের নার্সিংহোমে ডিউটিতে যান। সেখান থেকে যখন বাড়ি ফেরেন তখন তাঁর হাতে চ্যানেল করা। বাড়ি ফিরেই অসুস্থ হয়ে পড়েন চিকিৎক। মাটিতে পড়ে যান। চিকিৎসক শালিনী দাসকে নিয়ে যাওয়া হয় তমলুকের নার্সিংহোমে। সেখান থেকে তাম্রলিপ্ত মেডিক্যাল। কিন্তু বাঁচানো যায়নি।
শুক্রবার সকালে প্রথমে মহিষাদলের নার্সিংহোমে গিয়েছিলেন অ্যানাস্থেসিস্ট শালিনী দাস। সেখান থেকে তমুলকের নার্সিংহোম। তমলুকের নার্সিংহোমের চিকিৎসকের দাবি, ওটিতে থাকার সময় অসুস্থ বোধ করছিলেন অ্যানাস্টেসিস্ট। যদিও, কী কারণে মৃত্যু হোলো চিকিৎসকের। তা নিয়ে তৈরি হয়েছে রহস্য।