অন্যদিকে এই ঘটনা জানাজানি হতে অন্য আরেক ছুটি হয়ে বাড়ি চলে যাওয়া রোগীর সঙ্গে যোগাযোগ করছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তবে দুই রোগী একই উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হওয়ায় তাদের ডিসচার্জ সার্টিফিকেটে ওষুধ ছিল প্রায় একই রকম। তবে এই ব্যাপারটি নিয়ে ক্যামেরার সামনে মুখ না খুললেও তদন্ত করছেন সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল সুপার শোভন দে। উল্লেখ্য, গত ২৪ অগাস্ট সিউড়ি সুপার স্পেসিলিটি হাসপাতালে জ্বর ও মাথা ব্যাথার উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হন বীরভূমের সদাইপুরের সাহাপুরের ১৮ বছর বয়সী বাসিন্দা এস কে সামিউল। পর কিছু দিন সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর সুস্থ হয়ে যাওয়ায় তাঁকে ছুটি দেওয়া হয় হাসপাতাল থেকে। হাসপাতালের ডিসচার্জ সার্টিফিকেট ও ওষুধপত্র নিয়ে তিনি বাড়ি চলে যান।
advertisement
দুপুরে খাওয়ার পর সেই ডিসচার্জ সার্টিফিকেটে লেখা ওষুধ খান তিনি। ওষুধ খাওয়ার পর শরীর খারাপ লাগে তাঁর। তখনই তিনি লক্ষ করেন, ওই ডিসচার্জ সার্টিফিকেটে তাঁর নামের জায়গায় রয়েছে রেকমান খান নামে ৫৪ বছরের এক ব্যক্তির নাম। ভয় পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে সিউড়ি সুপার স্পেসিলিটি হাসপাতালে যান তিনি। হাসপাতাল সুপারের সঙ্গে যোগাযোগ করলে সুপার তাঁর হাতে নতুন ডিসচার্জ সার্টিফিকেট তুলে দেন ও ওই দুই ব্যক্তির উপসর্গ এক হওয়ায় পরে একই ওষুধের নাম লিখে দেয় হাসপাতাল সুপার শোভন দে। এছাড়াও উপসর্গ এক থাকায় তাঁদের দুজনের পুরোনো ডিসচার্জ সার্টিফিকেটেও প্রায় একই ওষুধের নাম লেখা ছিল। এই ঘটনার পর থেকেই অপর ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা চালাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।