রাজ্য সভাপতি হওয়ার সপ্তাহ খানেকের মধ্যেই শমীক ভট্টাচার্য দিলীপ ঘোষের মানভঞ্জনের উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তাঁকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন সল্টলেকে বিজেপির রাজ্য দফতরে। সেখানে দুজনে বৈঠকও করেন। সেই বৈঠকের পরই দিলীপ ঘোষকে তলব কারা হয়েছিল দিল্লিতে। সেখানে কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়নি। তবে সূত্রের খবর দিল্লিতে দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন দিলীপ। দলের কাজেই তাকে ডাকা হয়েছিল দিল্লিতে। এবার আরও একধাপ এগিয়ে গেল সেই প্রক্রিয়া।
advertisement
দিলীপ ঘোষের কাছে পৌঁছে গেল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সভার আমন্ত্রণ পত্র। বিজেপির অন্দরে গুঞ্জন, শমীক জমানাতেই গুরুত্ব বাড়তে শুরু করেছে দিলীপের। ১৮ জুলাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সভা করবেন দুর্গাপুরে। বিহারের নির্বাচনী প্রচার সেরে দুর্গাপুরের স্টিল প্ল্যান্টের নেহরু স্টে়ডিয়ামের সভা করবেন প্রধানমন্ত্রী। আর সেখানেই আগামী ১৮ জুলাই সকাল থেকেই উপস্থিত থাকবেন বিজেপির দাপুটে নেতা দিলীপ ঘোষ।
আগামী ১৭ জুলাই প্রধানমন্ত্রী পৌঁছে যাবেন দুর্গাপুর। দুর্গাপুর দিলীপ ঘোষের কাছেও গুরুত্বপূর্ণ। কারণ লোকসভা নির্বাচনে নিজের ইচ্ছে না থাকা সত্ত্বেও বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী হতে হয়েছিল দিলীপকে। যদিও দিলীপ জানিয়েছিলেন দল যা বলবে তাতেই তিনি রাজি। গত লোকসভা নির্বাচনে এই বর্ধমান দুর্গাপুর থেকেই নির্বাচনে হেরেছিলেন দিলীপ ঘোষ । তারপর থেকেই দলে কোণঠাসা হয়ে পড়েন তিনি। যে বর্ধমান – দুর্গাপুর কেন্দ্র দিলীপকে রাজনীতির ময়দানে কোণঠাসা করেছিল সেই দুর্গাপুর কেন্দ্র থেকেই দিলীপ সক্রিয় রাজনীতিকে ফিরবেন কিনা সেটাই এখন দেখার।
লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই দলের অন্দরে প্রাসঙ্গিকতা হারাচ্ছিলেন দিলীপ । সম্প্রতি তাঁর তৃণমূলে যোগদানেরও জল্পনা শুরু হয়েছিল। তিনি নিজে একটি রাজনৈতিক দল করছেন এমনও শোনা দিয়েছিল। সেসব এখন অতীত। প্রধানমন্ত্রীর সভায় ডাক পাচ্ছেন ‘পদহীন দিলীপ’- এটাই বড় কথা।
যদিও মোদির সভায় আমন্ত্রণ প্রসঙ্গে দিলীপ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ শুনতে বিজেপি কর্মী হিসেবে উপস্থিত থাকব। প্রধানমন্ত্রীর সভায় উপস্থিত থাকার জন্য নিমন্ত্রণের দরকার হয় না৷ কর্মী সমর্থকরা আমায় বলেছেন চেনা জায়গা প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ শুনতে নিশ্চয়ই যাবো। তার মঞ্চে কে উপস্থিত থাকবেন, সেটা তার প্রোটোকল মেনে সিকিউরিটি ঠিক করে৷ ওই বিষয়ে আমি বলতে পারব না।
