এরপরই দিলীপ বাবুর পরামর্শ, 'কাউন্সিলরের বাড়ির সামনে গিয়ে বিক্ষোভ দেখান। কাদা ফেলে আসুন কাউন্সিলরের বাড়ির সামনে। পুরসভার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখান। আমি সাংসদ তহবিল থেকে টাকা দিয়েছি, এখন কি ড্রেনও করে দেব! দরকার পড়লে কাউন্সিলরকে ল্যামপোস্টে বেঁধে রাখুন।' পরেও দিলীপের সংযোজন, 'আমি আমার সাংসদ তহবিলের টাকা দিয়ে রেখেছি। কিন্তু পুরসভা কোনও কাজ করছে না। রাজ্য সরকার আসলে কেন্দ্রের টাকা ব্যবহার করতে দিচ্ছে না।' যদিও খড়গপুরের প্রশাসকের প্রদীপ সরকারের দাবি, 'মিথ্যে কথা বলছেন দিলীপ ঘোষ। রেলের সুপরিকল্পনার অভাবেই জল দুর্ভোগ পোহাতে হয় সাধারণ মানুষকে।'
advertisement
প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে কলকাতার জল যন্ত্রণা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করতে গিয়ে দিলীপ বলেছিলেন, 'কলকাতা লন্ডনের বদলে ভেনিস হয়ে গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী দিল্লি গেলেন এখানে সব ভেসে গেল।' দিলীপের নিশানায় ছিল কলকাতার বিদায়ী মেয়র ফিরহাদ হাকিমও। ইয়াস পরবর্তী সময়ে নারদা ইস্যুতে সিবিআই গ্রেফতার করেছিল ফিরহাদকে। এরপর মুখ্যমন্ত্রী থেকে দলের সমর্থক, পরিবার থেকে তাঁর আইনজীবী, সকলেই প্রশ্ন তুলেছিলেন , দুর্যোগ সামলানোর সময়ে তিনি জেলে থাকলে শহরের মানুষের বিপদে কাজ করবেন কী করে! কিন্তু তিনি সক্রিয় থাকতেও মহানগরী কেন জলে ভাসল, সেই প্রশ্ন তুলেছিলেন দিলীপ ঘোষ। তাঁর কটাক্ষ ছিল, 'মুখ্যমন্ত্রী দিল্লি গেলেন এখানে সব ভেসে গেল, কলকাতার প্রাক্তন মেয়র জেলে না থাকলেও কলকাতাকে বাঁচাতে পারলেন না।' এবার সেই দিলীপ ঘোষই নিজের সংসদীয় এলাকায় জল নিয়ে জনসাধারণের বিক্ষোভের মুখে।