সাংবাদিকদের প্রশ্নে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি তথা মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বলেন, "প্রদীপ দা আমাদের এখানকার চেয়ারম্যান ছিলেন। এখানকার বিধায়ক ছিলেন। একসঙ্গে রাজনীতি করেছি। মাতৃ বিয়োগ হয়েছে ওনার। দুঃখের দিনে, ওনার সবচেয়ে কঠিন সময় আজ, আমি ছিলাম খড়্গপুরে (Kharagpur)। শ্রাদ্ধ-শান্তি ছিল। তাই দেখা করতে এসেছিলাম। আমার শ্রদ্ধাঞ্জলি জানিয়ে গেলাম মাকে। ওনার পরিবারের সঙ্গে দেখা হল।"
advertisement
খড়্গপুরের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন বিধায়ক তথা খড়গপুর (Kharagpur) পৌর প্রশাসক প্রদীপ সরকার বলেন, "খড়গপুর সবসময়ই সৌজন্যের রাজনীতি দেখিয়েছে। যখন জ্ঞান সিং সোহান পাল মারা যান তখন আমাদের মুখ্যমন্ত্রী ওনার জন্য কলকাতা থেকে গ্যান স্যালুটের ব্যবস্থা করেছিলেন, চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছিলেন। ওনার নামে স্মৃতিসৌধ করা আছে। রাজনীতিতে মতপার্থক্য থাকতে পারে, বিরোধ থাকতে পারে। সৌজন্যের রাজনীতি যাতে বহাল থাকে, তা চেষ্টা করেছি। মায়ের শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে আজ উনি আমার বাড়িতে এসেছেন। এই সৌজন্যের রাজনীতি যাতে সব সময় বহাল থাকে। সেটা আমরা খড়্গপুরে চেষ্টা করব।
আরও পড়ুন: দরিদ্র-কোভিড রোগীদের ঘরে ঘরে খাবার! জেলাগুলিকে জরুরি নির্দেশ নবান্নের...
উল্লেখ্য এদিন খড়্গপুরে ‘চায়ে পে চর্চা’-য় যোগ দিয়ে সাংবাদিকদের কাছে বিজেপি-র সর্বভারতী সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) মন্তব্য করেন, "রাজ্যের করোনা পরিস্থিতিতে রাজ্যের উচিত ছিল এক দফায় পুরসভা নির্বাচন (West Bengal Municipal Election) করানো।" তিনি বলেন, মানুষের জীবনের মূল্য যদি দিতে হয় তা হলে সরকারকে ভেবেচিন্তে কড়াকড়ি ভাবে সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। যখন বিধানসভা চলছিল তখন কিন্তু এখানে করোনা বাড়েনি। যে হেতু তৃণমূলের হেরে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল তাই বন্ধ করো বন্ধ করো বলেছিল। তখন করোনা বাড়ছিল মহারাষ্ট্র, দিল্লিতে। সেখানে তো নির্বাচন ছিল না। আজকে মনে করছে জিতে যাবে তাই যে কোনও মূল্যে নির্বাচন করতে প্রস্তুত। যদি নির্বাচন করাতেই হয় তাহলে তিনটি দফা হয়ে গেলো কেন? কেন একসঙ্গে ভোট করলেন না। কেন কলকাতার সঙ্গে করলেন না, উপনির্বাচনের সঙ্গে করলেন না। এত দিনে তো মিটেই যেত।’’