মূলত দিঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের নির্দেশিকায় রয়েছে, হোটেলে আগত পর্যটক পিছু ১০ টাকা করে কর দেওয়ার। সেই করের টাকা না দেওয়ায় দিঘার তিনটি হোটেলে তালা ঝোলানো হয় বুধবার রাতেই। ঘটনাস্থলে যান দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের আধিকারিক ও পুলিশকর্তারা। ওল্ড দিঘায় হোটেল শ্যাম সুন্দর আবাস, নয়নতারা হোটেল-সহ একাধিক হোটেল বন্ধ করে দেওয়া হয়। উন্নয়ন পর্ষদ কর্তৃপক্ষ জানান, পর্যটক পিছু যে কর জমা করতে হয়, সেই টাকা জমা না করায় নোটিস পাঠানো হয় পর্ষদের পক্ষ থেকে। তার পরেও কর জমা না করায় হোটেল বন্ধ করা হয়েছে। ব্যবসায়ীরা অবশ্য জানান, কোনও কারণে সরকারি কর তারা জমা করতে পারেননি। তাই বলে পর্যটকদের বের করে হোটেলে তালা দেওয়া উচিত হয়নি। দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ সন্ধ্যায় এসে পর্যটকদের বের করে দিয়ে তালা লাগিয়ে দেয় ৷ এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ এলাকার হোটেল সংগঠন ও ব্যবসায়ীরা। যা নিয়ে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি হয় ।
advertisement
আরও পড়ুন– খুলে গিয়েছিল ককপিটের দরজা, তারপর যে দৃশ্য দেখলেন বিমানসেবিকারা…! চাকরি গেল পাইলটের
রাতেই দিঘার একাধিক হোটেলে এদিন ঝোলানো হল তালা ৷ জেলাশাসককে অন্ধকারে রেখে DSDA- কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত। খবর জেনে জেলাশাসক পুর্নেন্দু মাজির হস্তক্ষেপে রাতেই অবশ্য খুলে দেওয়া হয় হোটেলগুলি। বুধবার রাতের ঘটনায় স্বভাবতই হইচই শুরু হয়ে যায় সমুদ্র শহরে।
দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের নির্দেশিকা রয়েছে, হোটেলে আগত পর্যটক পিছু ১০ টাকা করে কর দেওয়ার। সেই করের টাকা না দেওয়ায় দিঘার কয়েকটি হোটেলে তালা ঝোলানো হয় বুধবার রাতেই। ঘটনাস্থলে যান দিঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের আধিকারিক ও পুলিশকর্তারা। ওল্ড দিঘায় হোটেল শ্যাম সুন্দর আবাস, নয়নতারা হোটেল-সহ একাধিক হোটেল বন্ধ করে দেওয়া হয়। উন্নয়ন পর্ষদ কর্তৃপক্ষ জানান পর্যটক পিছু যে কর জমা করতে হয়, সেই টাকা জমা না করায় নোটিস পাঠানো হয় পর্ষদের পক্ষ থেকে। তার পরেও কর জমা না করায় হোটেল বন্ধ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন– ‘রাজা এখন নিজের ইচ্ছেমতো কাউকে সরিয়ে দিতে পারে…’ সংশোধনী বিল নিয়ে রাহুলের কটাক্ষ
জেলাশাসক পুর্নেন্দু মাজি জানান, ‘‘আমাকে না জানিয়েই দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ কর্তৃপক্ষ তালা ঝোলানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ৷ আমি ঘটনাটি জানতে পেরে তাদের খুলে দিতে বলি। এরপর হোটেলগুলির তালা খুলেও দেওয়া হয়েছে।’’
পর্যটকদের অভিযোগ, তাঁদের খাবার পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। ঘটনাস্থলে এদিন বিশাল পুলিশ বাহিনী চলে আসে। পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে হোটেলগুলিকে খোলার ব্যবস্থা করা হয়। একাধিক হোটেলে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার ঘটনায় রাতের দিঘায় স্বভাবতই উত্তেজনা ছড়ায়।