ইতিমধ্যেই দিঘায় জঞ্জাল সাফাইয়ের জন্য নয়া অ্যাপ-এর সূচনা করা হয় দিঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের তরফ থেকে। ‘বর্জ্য সাথী’ নামের এই অ্যাপ-এর মাধ্যমে দিঘার সমস্ত হোটেলগুলি থেকে বর্জ্য সংগ্রহ করা হবে। যার জন্য ইতিমধ্যে ১১ টি গাড়ি প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রত্যেকটি হোটেলে দেওয়া হয়েছে একটি করে কিউআর কোড। পর্ষদের কর্মীরা প্রত্যেকদিন সকালে হোটেলে গিয়ে অ্যাপ-এর মাধ্যমে কিউআরকোড স্ক্যান করে জঞ্জাল সংগ্রহ করবেন। ইতিমধ্যে হোটেলগুলিকে নীল ও সবুজ রঙের দুটি করে ডাস্টবিন দেওয়া হয়েছে। নীল ডাস্টবিনে নন বায়োডিগ্রেবল এবং সবুজ ডাস্টবিনে বায়োডিগ্রেবল আবর্জনা রাখতে হবে।
advertisement
পর্ষদের তরফ থেকে প্রায় ১৩০ জন কর্মীকে এই কাজে যুক্ত করা হয়েছে। ইতিমধ্যে আবর্জনা থেকে সার তৈরির জন্য ঢেউসাগর সংলগ্ন ১০ একর জমির উপর অত্যাধুনিক মানের সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট প্রজেক্ট করা হয়েছে। সেখানেই অত্যাধুনিক মানের মেশিন বসিয়ে তৈরি হবে জৈব সার। আর প্লাস্টিক ওয়েস্ট থেকে তৈরি হবে রাস্তা তৈরির উপকরণ এবং ব্লক। এ বিষয়ে ডিএসডিএ-র প্রশাসক অপূর্ব কুমার বিশ্বাস জানিয়েছেন, ” ২৫ লক্ষের এই মেশিন আগামী এক মাসের মধ্যে চালু হয়ে যাবে। সেখান থেকে জৈব সার প্রস্তুত করা হবে। এছাড়াও হোটেলগুলিতে পর্যটকদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে স্টিকার লাগানো হচ্ছে।”
প্রসঙ্গত পূর্ব মেদিনীপুর জেলার দিঘা বর্তমানে শুধুমাত্র আর রাজ্য তথা দেশের জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র নয়, আন্তর্জাতিক মানের পর্যটন কেন্দ্র হয়ে উঠেছে রাজ্য সরকারের একাধিক কর্মযজ্ঞের ছোঁয়ায়। দিঘায় জগন্নাথ মন্দির বাড়তি উন্মাদনা সৃষ্টি করেছে। আগামিদিনে, দিঘায় সারা বছরই পর্যটকের ভিড় লেগে থাকবে, এমনটাই মনে করছে প্রশাসন। তাই দিঘাকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার চ্যালেঞ্জ এখন থেকেই গ্রহণ করেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। সেইমতো একাধিক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
সৈকত শী