স্থানীয় হোটেল মালিকদের মতে, ঘূর্ণির সময় কেউ হতাহত হননি। পর্যটকরা বর্ষার ছিটে আর ছোট ঘূর্ণির খেলায় বেশ আনন্দিত হয়েছিলেন। অনেকেই ক্যামেরায় বন্দি করে স্মৃতি সংরক্ষণ করেছেন।
দিঘার দেখা যাওয়া এই দৃশ্যের বিষয়ে এগরা কলেজের অধ্যাপক ও গবেষক ড. দীপক বিশাই বলেন, “উপকূলীয় অঞ্চলে ক্ষুদ্র পরিসরের ভৌগোলিক অঞ্চলের নিম্ন বায়ুমণ্ডলীয় তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় বেড়ে গেলে এই ধূলা ঘূর্ণি দেখা যায়। এটি সাধারণত উপকূলীয় স্থানীয় বায়ুমণ্ডলীয় অস্থিরতাকে নির্দেশ করে। তবে এই ধরনের ঘূর্ণি তেমন কোনও ক্ষয়ক্ষতি করে না।”
advertisement
আরও পড়ুন: ঢাকের আওয়াজে মাতবে মণ্ডপ, কিন্তু কুড়েকুড়ে খাচ্ছে ভয়! ভিনরাজ্যে পা বাড়ানো ঢাকিদের বুক কাঁপছে
দুর্গাপুজোর আগেই বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের ঘনঘটা তৈরি হয়েছে। আলিপুর আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ২৫ সেপ্টেম্বর বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ সৃষ্টি হবে, যার ফলে পূর্ব মেদিনীপুর ও আশেপাশের উপকূ লীয় জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা বাড়বে। সোমবার দিনভর দিঘা ও জেলার বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাত দেখা গিয়েছে।
ভারি বৃষ্টির মধ্যে দিঘায় ছোট ধূলা ঘূর্ণির এই দৃশ্য পর্যটকদের বেশ আকর্ষন করেছে।
আরও পড়ুন: পুজো তো নয়, যেন ভোজবাড়ি! গ্রামবাসীদের জন্য থাকে ৫২ ভোগ, এখানে যজ্ঞ না দেখলে বড় মিস
পর্যটকরাও বৃষ্টির সঙ্গে এই ঘূর্ণি অভিজ্ঞতা অর্জন করলেন। স্বাভাবিকভাবে সামান্য ভিজলেও ঘূর্ণির উপভোগ করেছেন তারা। স্থানীয়রা ও পর্যটকরা মিলেমিশে এই ক্ষণিকের প্রাকৃতিক খেলায় মুগ্ধ হয়েছেন। দিঘার সৈকত আবার প্রমাণ করল, ছোট প্রাকৃতিক ঘটনা পর্যটকদের জন্য কতটা আনন্দদায়ক হতে পারে। ধূলা ঘূর্ণি ক্ষণিকের হলেও পর্যটকদের মনে স্মরণীয় মুহূর্ত হয়ে গেছে। বৃষ্টি, হালকা বাতাস আর সূর্যের তাপে গরম বালির সংমিশ্রণে তৈরি এই ক্ষণিকের ঘূর্ণি পর্যটকদের আনন্দে ভাসিয়েছে।
কেউ দৌড়ে পিছনে গেছেন, কেউ ক্যামেরায় বন্দি করেছেন। স্থানীয় হোটেল মালিক ও পর্যটকরা একমত, এটি দিঘার ভ্রমণকে আরও বিশেষ করে। ক্ষণিকের এই প্রাকৃতিক চমক ভ্রমণকারীদের মনে দীর্ঘস্থায়ী স্মৃতি রাখবে।