এই মাছের চেহারার কারণেই এমন নামকরণ। এদের শরীর চ্যাপ্টা, সরু ও লম্বাটে। দূর থেকে দেখলে একেবারেই ফিতের মতো লাগে। দীর্ঘ ডানা ও উল্লম্বভাবে ওঠানামা করা লেজ এই মাছকে আলাদা পরিচিতি দিয়েছে। স্বাদেও এই মাছ অসাধারণ, তাই বাজারে এই মাছের চাহিদাও প্রচুর।
শীতের মরসুমে দিঘা মোহনায় রিবন ফিশের চাহিদা আরও তুঙ্গে ওঠে। কারণ এই সময়ে সমুদ্রে এই মাছ তুলনামূলক বেশি ধরা পড়ে এবং গুণগত মানও ভাল থাকে। সাধারণত ১০০ থেকে ১৫০ গ্রামের ওপরে হলে এই মাছ চীনে—রফতানি করা হয়। তারা মূলত বড় আকারের রিবন ফিশ বেশি নেয় এবং বিদেশি বাজারে এর দামও ভাল। আর যেগুলির ওজন তুলনামূলক কম, অর্থাৎ ১০০ গ্রামের নিচে, সেগুলি থেকে তৈরি হয় শুটকি।
advertisement
সেই শুটকি মাছ বাংলাদেশ, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়াসহ একাধিক দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশে বিপুল পরিমাণে রফতানি করা হয়। দিঘার মৎস্য ব্যবসায়ীরা জানান, রফতানির কারণে স্থানীয় বাজারে দাম ভাল থাকায় মৎস্যজীবীরাও লাভবান হন।
দিঘা ফিশারমেন অ্যান্ড ফিশ ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বলেন, রিবন ফিশের বৈশিষ্ট্যই এর প্রধান আকর্ষণ। মাছটি আকারে সরু হলেও এর দেহ মসৃণ, চ্যাপ্টা ও অত্যন্ত নরম। একটিমাত্র কাঁটা থাকায় পরিষ্কার করা সহজ এবং রান্নায়ও বেশি ঝামেলা হয় না। সেই কারণেই রিবন ফিশ আন্তর্জাতিক বাজারে জনপ্রিয়। তিনি আরও জানান, বড় মাপের মাছ চীনে রফতানি হলেও ছোট মাছ থেকে তৈরি শুটকি মাছ তৈরি করা হয়। শুটকি মাছের চাহিদা বাংলাদেশ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বাজারে সবচেয়ে বেশি।
আরও পড়ুন- গৌতম গম্ভীরের কোচিংয়ে টেস্টে টিম ইন্ডিয়ার ৫টি লজ্জাজনক রেকর্ড! জেনে নিন বিস্তারিত
পূর্ব ভারতের অন্যতম সামুদ্রিক মাছের বাজার দিঘা মোহনায় এই মাছের চাহিদা শীতকালেই বেশি থাকে। পর্যটকদের কাছেও রিবন ফিসের চাহিদা ভালই রয়েছে। রিবন ফিশের স্বাদ অন্যান্য সামুদ্রিক মাছের তুলনায় আলাদা, নরম, এবং এক কাঁটা হওয়ায় খেতেও সুবিধে। সমুদ্রের গভীর জল থেকে উঠে আসা এই মাছ প্রতিদিন দিঘা মোহনার মাছের তালিকায় প্রথম সারিতে থাকে।





