দিঘায় মন্দিরের দ্বারোদ্ঘাটনের আগে মুখ্যমন্ত্রী বিশেষ ধন্যবাদ জানালেন মন্দির নির্মান-সহ অন্যান্য বিষয়ে জড়িত সমস্ত কর্মীদের। তিনি বলেন, ‘‘যারা এই কাজ শেষ করেছেন তাদের ধন্যবাদ জানাব। যারা এই কাজ করেছেন সেই শ্রমিক, প্ল্যানিং ইঞ্জিনিয়ার ও আর্কিটেক্টদের ধন্যবাদ জানাব।’’
advertisement
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘সাংস্কৃতিক, শিল্প, সাধু সন্ত সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান আজ এখানে এসেছে। হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ সহ সব সম্প্রদায় থেকে মানুষ এসেছেন। উত্তর থেকে দক্ষিণ সবাই এসেছেন। স্থানীয় মানুষের সহযোগিতা না পেলে এটা আমরা করতে পারতাম না। শিল্পপতিরা সবাই আজ এখানে এসেছেন। পুরোহিত সনাতন ব্রাহ্মণ সমাজ থেকে বেলুড় মঠ, দক্ষিণেশ্বর, কালীঘাট, ইসকন থেকে সবাই আজ এখানে হাজির।’’
দ্বারোদ্ঘাটনের সময় এবং পুজো সম্পর্কেও একাধিক বিষয় জানালেন মমতা। তিনি বলেন, ‘‘দুপুর ৩.১৪ পর্যন্ত দ্বারোদ্ঘাটনের সময় রয়েছে, তার মধ্যে উদ্বোধন হবে। বিষ্ণুর চক্র স্থাপন হয়েছে। ভোজ মণ্ডপ, জগমোহন, চৈতন্য দ্বার হয়েছে। দারুব্রহ্ম মূর্তি দৈনিক পুজো হবে। পাথরের বিগ্রহ থাকবে। সমুদ্র তীরে এ এক অপূর্ব সৃষ্টি হিসাবে থাকবে। মানুষ এখানে আসবেন।’’
আরও পড়ুন: কোন ভিটামিনের অভাবে রাতে ঘুমের মধ্যে মুখ দিয়ে লালা ঝরে? কোন সমস্যার লক্ষণ? এখনই জানুন
মন্দিরে আসার জন্য সকলকে আমন্ত্রণ জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি মন্দিরের প্রসাদে কী পাবেন ভক্তরা তারও আভাস দিলেন মমতা। ‘‘সবাই আসুন। এই মন্দির সকলের জন্য। এরপর মন্দিরের সময়ানুযায়ী সবাই আসবেন। ভোগ পাবেন, গজা, পেঁড়া পাবেন। অতিথিদের আজ দেখানো হবে। প্রসাদ ও ছবি তাদের দেওয়া হবে। INC বিভাগকে বলব বাংলার সব বাড়ি ও দেশের বিশিষ্টদের কাছে প্রসাদ ও ছবি পাঠাতে। সারা দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা হোক। মন্দির মা মাটি মানুষকে উৎসর্গ করব।’’