দিঘার জগন্নাথ মন্দির পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে ইসকন কর্তৃপক্ষ৷ ইসকনের কলকাতা শাখার ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং সংস্থার মুখপাত্র রাধারমণ দাস জানিয়েছেন, ‘অক্ষয় তৃতীয়ায় উদ্বোধনের দিন মন্দিরে এসেছিলেন দু লক্ষের বেশি মানুষ। বৃহস্পতিবার দর্শনার্থীর সংখ্যা ছিল পাঁচ লক্ষের বেশি।’ অর্থাৎ প্রথম দু’দিনেই পুণ্যার্থীর সংখ্যা ৭ লক্ষ ছাড়িয়ে গিয়েছিল বলে দাবি রাধারমণের৷ ইসকন কর্তৃপক্ষের হিসেব অনুযায়ী, ইতিমধ্যেই দশ লক্ষ মানুষ মন্দির দর্শন করেছেন!
advertisement
মন্দির খোলা বন্ধের সময়
উদ্বোধনের পর গত বৃহস্পতিবার দিঘা ছাড়ার আগে মন্দির খোলা, বন্ধ করার সময়সূচি মেনে চলার জন্য স্থানীয় বিধায়ক অখিল গিরিকে কড়া নির্দেশ দিয়ে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতোই প্রতিদিন ভোর ৬টায় খুলে যাচ্ছে ইসকন মন্দিরের মূল গেট৷ বেলা ১টা পর্যন্ত মন্দিরে প্রবেশ করতে পারছেন দর্শনার্থীরা৷ এর পর দু ঘণ্টার জন্য বন্ধ থাকছে মন্দির৷ ফের বিকেল ৩ টেয় খুলে রাত ৯টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য খোলা থাকছে জগন্নাথ ধাম৷
আরও পড়ুন: জগন্নাথ ধাম নামকরণে আপত্তি, পুরীর নিম কাঠেই দিঘায় বিগ্রহ? তদন্তের নির্দেশ ওড়িশা সরকারের
উদ্বোধনের আগে থেকেই দিঘার জগন্নাথ মন্দির নিয়ে মানুষের মধ্যে আগ্রহ তৈরি হয়েছিল৷ মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে বিগ্রহের প্রাণ প্রতিষ্ঠা এবং ধুমধাম করে উদ্বোধনের পর সেই আগ্রহ আরও বেড়েছে৷ অনেকে নতুন মন্দির দর্শন করতেই দিঘা আসছেন৷
বিপুল ভিড় সামাল দেওয়ার জন্য মন্দিরে যথেষ্ট সংখ্যক পুলিশ, সিভিক ভলেন্টিয়ার মোতায়েন করা হয়েছে৷ রয়েছেন ইসকনের স্বেচ্ছাসেবকরাও৷ তার পরেও ভিড় সামাল দিতে এক এক সময় হিমশিম খেতে হচ্ছে মন্দির কর্তৃপক্ষকে৷ নতুন মন্দিরকে কেন্দ্র করে দিঘাকে নিয়ে পর্যটকদের মধ্যে নতুন করে উন্মাদনা তৈরি হওয়ায় দারুণ খুশি দিঘার হোটেল ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে স্থানীয় বাসিন্দারাও৷