দিঘার একাধিক হোটেলের বিরুদ্ধে পর্যটকদের থেকে খেয়াল খুশি মতো চড়া ভাড়া আদায় করার অভিযোগ উঠছে৷ দিঘায় এখন সারা বছরই পর্যটকদের ভিড় লেগেই থাকে৷ সপ্তাহান্তে তো বটেই, সপ্তাহের অন্যান্য দিনগুলিতেও যথেষ্ট সংখ্যক পর্যটক আসেন দিঘায়৷ তার উপরে জগন্নাথ মন্দির তৈরির পর দিঘার আকর্ষণ কয়েকগুন বেড়েছে, পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ভিড়ও৷ অভিযোগ, সেই সুযোগটাই কাজে লাগাচ্ছেন এক শ্রেণির হোটেল মালিক এবং কর্তৃপক্ষ৷
advertisement
বাজেটের মধ্যে মধ্যবিত্তের বাজেট ভ্রমণের অন্যতম সেরা ঠিকানা দিঘা৷ নতুন জগন্নাথ মন্দিরে রথযাত্রা এবং তার আগে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে৷ ফলে ভিড়ও বাড়ছে৷ অনেক হোটেলেই ঘর নেই৷ যে হোটেলগুলিতে ঘর আছে, সেগুলির ভাড়া কোথাও দ্বিগুন, কোনও হোটেলে আবার তারও বেশি বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে৷
পর্যটকদের অভিযোগ, আগে দিঘায় এলে ৫০০ থেকে ১২০০ টাকায় নন এসি ঘর পাওয়া যেত৷ এখন সেই ঘরের ভাড়া চাওয়া হচ্ছে প্রায় ২৫০০ টাকা৷ আবার ১২০০ থেকে ২৫০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যেত ভাল এসি ঘর৷ এখন এসি ঘরের ভাড়া কোনও হোটেলে ৩৫০০ হাজার, কোথাও আবার ৬ হাজার টাকা৷ দিঘায় যাঁরা বার বার আসেন হোটেলের এই অস্বাভাবিক ভাড়া বৃদ্ধিতে তাঁরাও অবাক৷ এমন কি, অনলাইনে ঘর বুক করে গেলেও দিঘায় গিয়ে হয়রানির মুখে পড়ছেন অনেক পর্যটক৷ আগাম টাকা নেওয়ার পরেও বাড়তি টাকা ঘর ভাডা় চাওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ৷ আবার অনেক হোটেল ন্যূনতম দু দিনের কম ঘর ভাড়া দিতে চাইছে না৷ একদিনের জন্য ভাড়া দিলে অতিরিক্ত টাকা দাবি করা হচ্ছে৷
জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি অবশ্য হোটেলগুলির বিরুদ্ধে ওঠা এই অভিযোগ অস্বীকার করেননি৷ তবে তাঁর দাবি, অভিযোগ পেলেই সংশ্লিষ্ট হোটেলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে৷ হোটেল মালিক সংগঠনের সঙ্গেও কথা বলেছে প্রশাসন৷