দিঘায় খাবারের দোকানে অভিযানে গিয়ে রীতিমতো রণংদেহী মেজাজে দেখা গেল খাদ্য সুরক্ষা আধিকারিকদের। ধমক দিয়ে দোকানের বাসি ও পচা হওয়া খাবার টেনে বের করে ডাস্টবিনেও ফেলা হল। ঝাঁ চকচকে দোকানের আড়ালে পর্যটক থেকে খাদ্য রসিক মানুষদের খাওয়ানো হচ্ছিল বাসি পচা খাবার। একাধিকবার সচেতন করা হলেও কোনও কাজে আসেনি। অভিযোগ পেয়ে বৃহস্পতিবার আসরে নামে নন্দীগ্রাম জেলা খাদ্য সুরক্ষা দফতর।
advertisement
আরও পড়ুন: সন্দেশখালিতে ইডি অফিসারদের বিরুদ্ধেই টাকা চুরির অভিযোগ! পরিমাণ শুনলে চমকে উঠবেন
এইদিন নিউ দিঘায় বিভিন্ন খাবারের দোকান ও রেস্তোরাঁয় হানা দিতেই হাতেনাতে ধরা পড়ল দোকানগুলির কারসাজি। দেখা গেল একাধিক জায়গায় টাটকা খাবারের নামে দেওয়া হচ্ছে বাসি পচা খাবার। নিজে হাতে দোকানের খাবারের গুণগত মান যাচাই করে একাধিক দোকানদারকে ধরালেন আইনি নোটিস। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কড়া আইনি পদক্ষেপের হুঁশিয়ারিও দিলেন জেলা খাদ্য সুরক্ষা আধিকারিক।
আরও পড়ুন: আদালতে বড় স্বস্তি পেল ইডি, সন্দেশখালির ঘটনায় তাজ্জব হাইকোর্ট! বিস্ফোরক অভিযোগ
তবে শুধু রেস্তোরাঁ নয়, একাধিক খাবারের দোকানেও হানা দেন। বাসি মিষ্টি ও ফ্রিজে রাখা, নষ্ট মাংসের তরকারি নিজে হাতে ফ্রিজ থেকে বের করে তা ডাস্টবিনে ফেলার ব্যবস্থা করেন। দিনভর খাদ্য সুরক্ষা দফতরের আধিকারিকের এই অভিযানে ব্যাপক শোরগোল শুরু হয় দিঘা জুড়ে।
এ বিষয়ে জেলা খাদ্য সুরক্ষা আধিকারিক বিশ্বজিৎ মান্না বলেন, “খাদ্য দফতরের নিয়মাবলী সম্পর্কে অনেকবার দোকানদারদের সচেতন করা হয়েছিল। কিন্তু, তারপরেও তা অনেকে মেনে চলেননি। খাদ্য সুরক্ষার বিষয়েও নজর দেওয়া হচ্ছিল না। অনেক দোকানদার বিনা লাইসেন্সে দোকান চালাচ্ছিলেন তাঁদের নোটিস ধরানো হয়েছে।”এইদিন ছিলেন নন্দীগ্রাম জেলা খাদ্য সুরক্ষা আধিকারি বিশ্বজিৎ মান্না, সন্তু পাল, অরিত্রি বিশ্বাস।