ব্যবসায়ীদের সাথে নিয়ে চলছে সমুদ্রের পাড়ের আবর্জনা সরানোর কাজ৷ চলছে দোকানগুলির অবস্থা কী, তা জানার কাজও। সেটা করতে গিয়েই একের পর দোকানের শাটার খোলা হচ্ছে। গত পরশু দীঘার বিধান মার্কেট পরিদর্শন করে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। তার পরেই ওল্ড দীঘার বিধান ফ্যান্সি মার্কেট খোলার কাজ শুরু হয়েছে পরিষ্কার করার জন্যে। বন্ধ শাটারের সামনে কোথাও জমে এক হাঁটু প্লাস্টিকের বর্জ্য। কোথাও আবার জমে আছে মোটা পলির স্তর। ইতিউতি ছড়িয়ে পড়ে আছে বিশ্ব বাংলা পার্কের মোটা সিমেন্টের চেয়ার। কোথাও আবার ভেঙে ঢুকে গিয়েছে শাটার। দোকান খুলে বের করছেন ব্যবসায়ীরা রেফ্রিজারেটর। কেউ কেউ আবার বার করছেন কম্প্রেসার। সব কিছুই নষ্ট হয়ে গিয়েছে। রেফ্রিজারেটর থেকে বার করা হচ্ছে ঠান্ডা পানীয়ের বোতল। তার মধ্যে জমে আছে সমুদ্রের নোনা জল। কম্প্রেসার খুলতেই দেখা যাচ্ছে জমে আছে কাদাসেই কাদা বের করার অদম্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন দিলীপ সামন্ত।
advertisement
তিনি বলছেন, "খাবার যতটুকু সরানো সম্ভব সরিয়ে নিয়েছিলাম। এই ফ্রিজ, বাক্স কোথায় সরাতাম।সব জল ঢুকে নষ্ট হয়ে গিয়েছে। আমার প্রায় দেখ লাখ টাকার ক্ষতি হয়ে গেল।" একই চেহারা তরুণ বাবুর ইমিটেশনের গয়নার দোকানে। ছুঁড়ে ছুঁড়ে ফেলছেন চুড়ি, কানের দুল, পারফিউম। কারণ কোনওটাই ব্যবহার করা যাবে না আর। হতাশ তরুণ বাবুর কথায়, "লাগাতার লকডাউন। আর তার মধ্যে সমুদ্র আমাদের এই ক্ষতি করে দিয়ে গেল। বেঁচে থাকা দায় হয়ে যাচ্ছে।" হিসেবের খাতা কাদায় মুখ ঢুকিয়ে বসে আছে। দেওয়াল জুড়ে জল-কাদার ছাপ। অসহায় দীঘার বাসিন্দারা।রাজ্যের মন্ত্রী তথা রামনগরের বিধায়ক অখিল গিরি জানিয়েছেন, সমীক্ষার কাজ শুরু হয়েছে। অবশ্যই সরকার এই সব মানুষের পাশে দাঁড়াবেন।