জানা গিয়েছে, এ দিন রাতে পূর্ব মেদিনীপুরেরই কুকড়াহাটি থেকে দিঘা (Digha Bus Accident) যাচ্ছিল বাসটি৷ দিঘা নন্দকুমার ১১৬বি জাতীয় সড়কের উপরে কাঁথি পিছবনী বাস স্ট্যান্ডের কাছে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রথমে উল্টে যায়৷ এর পর সেটি গিয়ে রাস্তার পাশে নয়ানজুলিতে গিয়ে পড়ে বাসটি৷
আরও পড়ুন: জঙ্গলের গা ছমছমে পরিবেশ! বিলাসবহুল কুঁড়েঘরে রাত্রিবাস! বড়দিনে ডেস্টিনেশন হোক রানী শিরোমণির গড়
advertisement
দুর্ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই স্থানীয়রা প্রথমে উদ্ধারকাজে ছুটে আসেন৷ আহত যাত্রীদের বাস থেকে বের করে আনার চেষ্টা করা হয়৷ খবর পেয়ে কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কাঁথি থানার পুলিশ৷ সবমিলিয়ে ১৮ থেকে ২০ জন দুর্ঘটনায় আহত হন৷ কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁদের মধ্যে তিনজনকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়৷
দুর্ঘটনার জেরে দিঘা- নন্দকুমার জাতীয় সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়৷ আহতদের নিয়ে কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করে পুলিশ৷ তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক৷ স্থানীয়রা জানিয়েছেন, দ্রুত গতিতে থাকার কারণেই সম্ভবত বাসের নিয়ন্ত্রণ হারান চালক৷ ক্রেন নিয়ে এসে নয়ানজুলি থেকে বাসটিকে তোলার ব্যবস্থা করে পুলিশ৷
আরও পড়ুন: সৈকতপ্রেমীদের জন্য সুখবর! আজ থেকেই চালু হাওড়া-দিঘা সরাসরি ট্রেন পরিষেবা, জেনে নিন সময়সূচি...
পুলিশ জানিয়েছে, নিহত তিন যাত্রীর নাম তপন কর, ইন্দ্রজিৎ পট্টনায়েক এবং দীপঙ্কর মান্না৷ নিহতদের মধ্যে তপন কর কাঁথি কো অপারেটিভ ব্যাঙ্কের কর্মী৷ দীপঙ্কর মান্না দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাসটিরই কর্মী ছিলেন৷
দিঘা নন্দকুমার রুটে ১১৬বি জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনা নিত্য নৈমিত্তিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ প্রায়শই দুর্ঘটনার কবলে পড়েন দিঘাগামী পর্যটকদের গাড়িও৷ স্থানীয়দের অভিযোগ, মূলত অপিরসর রাস্তা এবং দ্রুত গতিতে যান চলাচলই এত ঘন ঘন দু্র্ঘটনার মূল কারণ৷
