গলসির কুরকুবা গ্রাম পঞ্চায়েতের জয়কৃষ্ণপুরের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, ভোটের পর এলাকায় আর দেখা যায়নি বিধায়ককে। নানা অভাব অভিযোগ করেও সুরাহা হয়নি।গ্রামের মানুষ আবাস যোজনায় বাড়ি পাননি। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে রান্নার মান খারাপ। রাস্তাঘাট মাসের পর মাস বেহাল হয়ে পড়ে রয়েছে। বারবার জানানো সত্ত্বেও কাজের কাজ কিছু হয়নি। এলাকায় বহু বহু মানুষ পানীয় জলের সংকটের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। বিধায়ককে কাছে পেয়ে সেই সব সমস্যার কথা জানানো হয়।
advertisement
আরও পড়ুন: কোথাও বৃষ্টি-কোথাও তুষারপাত, কলকাতাতেও শীতের নয়া রেকর্ড! আবহাওয়ার বড় আপডেট
জানা গিয়েছে, বিধায়কের এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে দলের একাংশের মধ্যেও ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল। তৃণমূলকর্মীদের একাংশের অভিযোগ, গ্রামের পঞ্চায়েত সদস্যকে না জানিয়ে কর্মসূচী করতে আসেন বিধায়ক।এমনকী গ্রামের দলীয় কর্মীদেরও জানানো হয়নি। এদিন গলসির বিধায়ক নেপাল ঘোড়ুই জয়কৃষ্ণপুর সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র পরিদর্শন করতে যাচ্ছিলেন। গ্রামে ঢোকার মুখেই তাঁকে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। এমনকী গ্রামেও ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। পরে অবশ্য সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রে ঢোকেন বিধায়ক।
যদিও টেলিফোনে বিধায়ক জানিয়েছেন, কোনও বিক্ষোভ হয়নি।
আরও পড়ুন: মিড ডে মিলের টাকায় 'দুয়ারে সরকার' ক্যাম্প! ফের বড় দুর্নীতির 'হদিশ' শুভেন্দু অধিকারীর
আইসিডিএসে হাফ ডিম দেওয়া হচ্ছে বলে গ্রামবাসীরা অভিযোগ জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে তাঁরা জানিয়েছেন, মেশিন দিয়ে ধান কাটার ফলে তাঁরা জনমজুরের কাজ পাচ্ছেন না। সেসব কথাই জানাতে এসেছিলেন তাঁরা। কেউ কেউ এলাকার কিছু কিছু সমস্যার কথা বলেছেন। যদি ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। বিজেপির অভিযোগ, ভোটে জেতার পর আর ওই এলাকায় যাননি বিধায়ক। স্বাভাবিকভাবেই ক্ষোভ দেখিয়েছেন গ্রামবাসীরা। এ ব্যাপারে তৃণমূলের পূর্ব বর্ধমান জেলার মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, এলাকার বাসিন্দারা বিধায়ককে তাঁদের সমস্যার কথা জানাবেন এটাই স্বাভাবিক। বিজেপির অভিযোগ ভিত্তিহীন।