আগামী ৩ ডিসেম্বর কাঁথিতে সভা করতে আসবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সেদিনই তাঁকে শান্তিকুঞ্জে যাওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন দিব্যেন্দু৷ শুভেন্দু অধিকারী বিজেপি-তে যাওয়ার পর থেকেই শান্তিকুঞ্জ রাজ্য রাজনীতিতে অন্য তাৎপর্য বহন করছে৷ একই সঙ্গে গতকাল বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে বিরোধী দলনেতা হিসেবে শুভেন্দু অধিকারীর প্রতি সৌজন্য দেখিয়েছেন, তাকেও স্বাগত জানিয়েছেন তমলুকের সাংসদ৷ পাশাপাশি, মুখ্যমন্ত্রী শিশির অধিকারীর কুশল সংবাদ নেওয়াতে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন দিব্যেন্দু৷
advertisement
আরও পড়ুন: 'অনেকে কালীঘাটে যান, উনি ওখানে করেছেন!' মমতাকে শুভেন্দুর প্রণাম নিয়ে মুখ খুললেন দিলীপ
তমলুকের সাংসদ বলেন, 'এটা সৌজন্যবোধের নিদর্শন৷ এটা নিশ্চিত ভাবেই ভাল দিক৷ বিধানসভায় তো সুস্থ আলোচনাই হওয়া উচিত৷ মানুষ তো বিধানসভা, লোকসভায় আমাদের কথা বলার জন্যই নির্বাচিত করেছেন৷ কী আলোচনা হয়েছে, যাঁরা গিয়েছিলেন তাঁরাই বলতে পারবেন৷ তবে শুনেছি যে উনি আমার বাবার সম্পর্কে খোঁজ নিয়েছেন৷ তার জন্য কৃতজ্ঞতা জানাই৷ আর যাঁরা আমার বাড়ির পাঁচশো মিটারের মধ্যে দাঁড়িয়ে পিতৃশ্রাদ্ধ দিয়ে গিয়েছে, তাঁদের দিকেও নিশ্চয়ই তিনি নজর দেবেন৷' প্রসঙ্গত, উল্লেখ্য বিধানসভা নির্বাচনের আগে কাঁথিতে জনসভা করতে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারী, শিশির অধিকারীদের তুমুল আক্রমণ করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷
আরও পড়ুন: 'যাঁকে ভাইয়ের মতো স্নেহ করতাম...', শুভেন্দুর অভিযোগের জবাবে অতীতে ফিরলেন মমতা
তবে একই সঙ্গে অভিষেকের প্রতি সৌজন্যের বার্তাও দিয়েছেন দিব্যেন্দু৷ তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, আগামী ৩ ডিসেম্বর ফের কাঁথিতে সভা করতে আসছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, আপনি তাঁর উদ্দেশে কী বলবেন? জবাবে দিব্যেন্দু বলেন, 'বাড়িতে চা খেতে আসতে বলব৷ এলে খুশি হব৷'
দিব্যেন্দু অধিকারীর এই আমন্ত্রণ নিয়ে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, "চা খাওয়ানোর আমন্ত্রণ জানাতে হলে ফোন করে জানাক। চা খেতে আসতে বলুক। হাওয়ায় কথা ভাসিয়ে তো লাভ নেই। যে আমন্ত্রণ করছে, আর যাকে করছে এটা তো একান্তই তাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার। "
শুভেন্দু অধিকারীর বিজেপি-তে যোগদানের পর থেকে শিশির অধিকারী এবং দিব্যেন্দু অধিকারীর সঙ্গে তৃণমূলের সম্পর্কও কার্যত ছিন্ন হয়েছে৷ শিশির অধিকারীর সাংসদ পদ খারিজের জন্য তৎপর হয়েছে তৃণমূল৷ এই অবস্থায় ২০২৪-এর নির্বাচনে গোটা রাজ্যের নজরে রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার দু'টি লোকসভা আসন৷ যে দুই কেন্দ্রের সাংসদ শিশির এবং দিব্যেন্দু অধিকারী৷