TRENDING:

অতিমারীর জেরে কাজ না পাওয়ায় হতাশায় ভুগছেন ঢাক সারাইয়ের শিল্পীরা

Last Updated:

বাতাসে কান পাতলেই শোনা যেত মহড়ার আওয়াজ। ঢাকিদের সঙ্গে সঙ্গে ব্যস্ত থাকতেন ঢাক সারাইয়ের পেশায় নিযুক্ত মানুষেরাও।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
# বাঁকুড়া : ‘ আয় রে ছুটে আয়, পুজোর গন্ধ এসেছে, ঢ্যাং কুরাকুর ঢ্যাং  কুরাকুর বাদ্যি বেজেছে’ -সত্যি পুজার সঙ্গে ঢাকের একটা যোগ সূত্র যেন চিরন্তন। তাই পুজোর মরশুম আসতেই ঢাকি পাড়াতেও পড়ে যেত চরম ব্যস্ততা। বাতাসে কান পাতলেই শোনা যেত মহড়ার আওয়াজ। ঢাকিদের সঙ্গে সঙ্গে ব্যস্ত থাকতেন ঢাক সারাইয়ের পেশায় নিযুক্ত মানুষেরাও।
advertisement

কারণ তাদের হাতেই পুরনো খোলস ছেড়ে নতুনরূপে প্রস্তুত হয়ে উঠত ঢাক গুলি। এরপর ঢাকীদের কাঁধে চেপে পাড়ি দিত রাজ্য ছেড়ে ভিন রাজ্যে কখনো আবার দেশের বাইরে ও।তবে এ বছর বিশ্ব মহামারী জেরে বরাত আসেনি কাজের। ফলে তারা হয়েছেন ঢাকায় পেশায় নিযুক্ত মানুষ গুলিও। বাঁকুড়ার জয়কৃষ্ণপুরের আদিত্য বাবুও তাদেরই একজন। প্রতিবছরই পুজোর মরসুমটায় চরম ব্যস্ততায় থাকতেন তিনি। আশপাশের প্রায় সাত থেকে আটটি গ্রামের ঢাকিরা একমাত্র তার কাছেই আসতেন নিজেদের ঢাক সারাই করতে।

advertisement

ভিন রাজ্যে পাড়ি দেওয়ার আগে উপার্জনের প্রধান উপকরণ টিকে নিখুত ভাবে সাজিয়ে নিতে ভিড় জমাতে তারা আদিত্য বাবুর কাছে। নতুন চামড়ার মোড়ক লাগানো থেকে ঢাকের রূপসজ্জা সবটাই দক্ষ হাতে করতেন তিনি। উঠোন ময় গমগম করত ঢাকের আওয়াজ। সেই ঢাকের আওয়াজ এ জানান দিত মা আসছেন।তবে এ বছর সব কিছুরই ছন্দপতন ঘটেছে। মা যেমন আসছেন দেরিতে, একইভাবে সেভাবে কাজের বরাত পাননি ঢাকিরা। ফলে ঢাক সারের কাজ ও সেভাবে পাননি আদিত্য বাবু। খাঁ খাঁ করছে আজ তার উঠোন। বাতাসে কান পাতলে আজ আর ঢাকের আওয়াজ নয় বিষাদের একটা করুন সুর যেন ভেসে আসছে।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
​'শুভ বিজয়া' সন্দেশ স্পেশালে মন মজেছে জনতার! বর্ধমানের মিষ্টির দোকানে ভিড়
আরও দেখুন

Mritunjoy Das

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
অতিমারীর জেরে কাজ না পাওয়ায় হতাশায় ভুগছেন ঢাক সারাইয়ের শিল্পীরা
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল