কারণ তাদের হাতেই পুরনো খোলস ছেড়ে নতুনরূপে প্রস্তুত হয়ে উঠত ঢাক গুলি। এরপর ঢাকীদের কাঁধে চেপে পাড়ি দিত রাজ্য ছেড়ে ভিন রাজ্যে কখনো আবার দেশের বাইরে ও।তবে এ বছর বিশ্ব মহামারী জেরে বরাত আসেনি কাজের। ফলে তারা হয়েছেন ঢাকায় পেশায় নিযুক্ত মানুষ গুলিও। বাঁকুড়ার জয়কৃষ্ণপুরের আদিত্য বাবুও তাদেরই একজন। প্রতিবছরই পুজোর মরসুমটায় চরম ব্যস্ততায় থাকতেন তিনি। আশপাশের প্রায় সাত থেকে আটটি গ্রামের ঢাকিরা একমাত্র তার কাছেই আসতেন নিজেদের ঢাক সারাই করতে।
advertisement
ভিন রাজ্যে পাড়ি দেওয়ার আগে উপার্জনের প্রধান উপকরণ টিকে নিখুত ভাবে সাজিয়ে নিতে ভিড় জমাতে তারা আদিত্য বাবুর কাছে। নতুন চামড়ার মোড়ক লাগানো থেকে ঢাকের রূপসজ্জা সবটাই দক্ষ হাতে করতেন তিনি। উঠোন ময় গমগম করত ঢাকের আওয়াজ। সেই ঢাকের আওয়াজ এ জানান দিত মা আসছেন।তবে এ বছর সব কিছুরই ছন্দপতন ঘটেছে। মা যেমন আসছেন দেরিতে, একইভাবে সেভাবে কাজের বরাত পাননি ঢাকিরা। ফলে ঢাক সারের কাজ ও সেভাবে পাননি আদিত্য বাবু। খাঁ খাঁ করছে আজ তার উঠোন। বাতাসে কান পাতলে আজ আর ঢাকের আওয়াজ নয় বিষাদের একটা করুন সুর যেন ভেসে আসছে।
Mritunjoy Das