পুলিশ সূত্রে খবর, সোমবার দুপুরে মানিকপাড়ার বাড়ির দোতলায় উঠে ঈশিতা মল্লিককে পর পর গুলি করে খুন করে দেশরাজ৷ কিন্তু খুনের পর সঙ্গে সঙ্গে পালিয়ে না গিয়ে দোতলার বারান্দার চেয়ারেই বসেছিল সে! ঈশিতার মা এবং ভাইয়ের বয়ান থেকেই এই তথ্য মিলেছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর৷
প্রেমিকাকে গুলি করে খুনের পর না পালিয়ে গিয়ে কেন চেয়ারে বসে অপেক্ষা করছিল দেশরাজ? তদন্তকারীরা মনে করছেন, সবরকম খবর নিয়ে নিখুঁত ছক এঁটে সোমবার দুপুরে ঈশিতার বাড়িতে হানা দিয়েছিল দেশরাজ৷ সে জানত, ওই সময় ঈশিতার বাবা অফিসে থাকেন৷ ঈশিতার মা তাঁর ভাইকে স্কুল থেকে আনতে যান৷ ঈশিতার দাদু একতলায় থাকলেও হাঁটাচলায় অসুবিধা রয়েছে তাঁর৷ তাই প্রায় ফাঁকা বাড়িতে খোলা গেট দিয়ে দোতলায় উঠে আসতে সমস্যা হয়নি দেশরাজের৷ প্রায় বিনা বাধায় ঈশিতাকে খুন করে সে৷
advertisement
কিন্তু সম্ভবত খুনের পরই দোতলার বারান্দা থেকে সে দেখতে পায়, নীচে ঈশিতার ভাইকে স্কুল থেকে নিয়ে ফিরে এসেছেন তাঁর মা৷ তখনই না পালিয়ে দোতলায় অপেক্ষার সিদ্ধান্ত নেয় দেশরাজ৷ কারণ, সেই সময় পালাতে গেলে নীচে উঠোনের উপরেই ঈশিতার মা এবং ভাইয়ের মুখোমুখি হত সে৷ তখন চিৎকার, চেঁচামেচিতে তার ধরা পড়ার সম্ভাবনা বাড়ত৷ তাই নীচে না নেমে ঈশিতার মা এবং ভাইয়ের জন্য উপরেই অপেক্ষা করতে থাকে সে৷ যাতে ওই দু জন উপরে এলে তাঁদেরও গুলি করে খুন করা যায়৷ সেক্ষেত্রে ঈশিতাকে খুনের কোনও সাক্ষীই জীবিত থাকতেন না৷ দেশরাজেরও ধরা পড়ার সম্ভাবনা কমত৷
ঈশিতার মা এবং ভাই উপরে আসতে তাঁদের লক্ষ্য করেও গুলি চালানোর চেষ্টা করে দেশরাজ৷ কিন্তু কোনও কারণে সেই সময় বন্দুক থেকে গুলি বেরোয়নি৷ এর পরই সিঁড়ি দিয়ে নীচে নেমে এসে পালিয়ে যায় দেশরাজ৷ খুনের পরেও দেশরাজের এই ঠান্ডা মাথায় নতুন পরিকল্পনা দেখে তাজ্জব হয়ে গিয়েছেন পুলিশকর্তারাও!