বাঁকুড়ার খাতড়ার বিবেকানন্দ রোডের উপরে এক আবির প্রস্তুতকারক সংস্থা দিন রাত এক করে আবির তৈরি করেছে। তাদের প্রোডাকশন শুরু হয় পুজোর পর থেকেই। শীতের আগে দোলের প্রস্তুতি তুঙ্গে সেই কারণে। তবে ধীরে ধীরে স্বাস্থ্য সচেতন হচ্ছেন মানুষ। সেই কারণে সিনথেটিক রং কিংবা কেমিক্যাল মেশানো আবির ত্যাগ করে ভেষজ আবিরের চাহিদা বেড়েছে। খাতড়ার আবির ব্যাবসায়ী বানাচ্ছেন ভেষজ আবির। আবির ব্যাবসায়ী বিলাস মল্লিক জানান, “কম দামী জিনিসের প্রতি মানুষের চাহিদাটা একটু বেশি। তবে আমাদের বাবাই আবির সবসময় চেষ্টা করে ইকো ফ্রেন্ডলি আবির তৈরি করতে। প্রায় ৩০ বছর ধরে আমরা কাজ করছি। আমাদের রঙের আকর্ষণ কম হলেও ভেষজ আবির বানানোই মূল উদ্দেশ্য।”
advertisement
আরও পড়ুন : ৯ দিন মাছ, মাংস, ডিম বন্ধ বাঁকুড়ার এই জায়গায়! কেন জানেন?
দুই ভাই তাদের বাবার ৩০ বছর আগে তৈরি করা ব্যাবসার হাল ধরেছেন পুরো দমে। বর্তমানে দক্ষিণ বাঁকুড়ার জনপদ গুলি হয়ে প্রত্যন্ত গ্রাম পর্যন্ত পৌঁছে যায় “বাবাই আবির”। দোল উৎসব ছাড়াও ভোটে জেতার উজ্জাপনে, আনন্দ উৎসবে, বিয়ের অষ্টমঙ্গলাতে এবং পুজোতে ব্যাবহার করা হয় আবির। সেক্ষেত্রে সারা বছরই আবিরের প্রোডাকশন চলতে থাকে। বাঁকুড়ার খাতড়ার এই আবির প্রস্তুতকারক কারখানায়।
“আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন“
ক্রেতাদের সুরক্ষা ও চাহিদার কথা মাথায় রেখেই বিভিন্ন ধরণের ফুলের আবির তৈরির উপরেই তারা বেশিজোর দিয়েছেন। খাতড়ার এই আবির তৈরির কারখানায় গিয়ে দেখা গেল, উপস্থিত সব কর্মীরাই কাজে ব্যস্ত, দম ফেলার ফুসরৎ নেই কারও। একদিকে নির্দিষ্ট পদ্ধতি মেনে আবির তৈরিহচ্ছে, অন্যদিকে তখন কেউ উৎপাদিত আবির প্যাকেটজাত করার কাজ চালাচ্ছেন।
নীলাঞ্জন ব্যানার্জী