সুতো থেকে সম্পূর্ণ শাড়ি। সবেতেই জিএসটির থাবা। জিএসটিতে নাম নথিভুক্ত না হলে মিলছে না কাঁচামাল। জিএসটির নম্বর দেরিতে পাওয়ার জন্য সরকারি সংস্থা থেকে সঠিক সময়ে সুতোও মেলেনি। থমকে গিয়েছিল তাঁত বোনার কাজ। এর জন্যই এবার অনেকটা দেরিতে শাড়ি কিনেছে সরকারি সংস্থা তন্তুজ। দাম বেড়েছে সবরকম তাঁতের শাড়িরই।
এখন পাওয়ার লুমের যূগ। বাপ ঠাকুর্দার ব্যবসা চালাতে না পেরে অনেকেই এই পেশা থেকে সরে গেছেন। বাকিরা কোনওরকমে নিজেদের টিকিয়ে রেখেছেন। বেড়েছে প্রতিযোগিতা। সঙ্গে যোগ হয়েছে জিএসটি
advertisement
সারাদিন খটাখট। খটাখট। মাথা গুঁজে তাঁত বুনে চলেছেন তাঁতি। শান্তিপুরের এই ছবি বদলের কোন সম্ভাবনা নেই। কারণ বাংলার তাঁতের আতুরঘরে ঘরে ঘরে তাঁতি। এটাই এখানকার মানুষের জীবন জীবিকা। সময় বদলেছে। আধুনিক হয়েছে নকসা। তাঁতের ডিজাইনেও বদল এসেছে। হাল ফ্যাশনের নকশা তোলায় পারদর্শী শান্তিপুরের তাঁত শিল্পীরা। তবু পুজোর আগে জিএসটি কোপে ব্যবসায় এবার মন্দা
সব প্রতিকূলতার মধ্যেই শান্তিপুরের তাঁতপাড়ায় জীবনের সঙ্গীত। তাঁত চালানোর আওয়াজেই ধরা পড়ে ব্যস্ততা। তবে স্বস্তি নেই তাঁত ব্যবসায়ী ও কারিগরদের। বাড়েনি মজুরিও। তবে একটা স্বপ্ন রয়েই গেছে কবে পুজোয় সব দুর্গারা সাজবেন বাংলার তাঁতে।
