যেখানে আজও তার ঐতিহ্য বহন করে চলেছে ইতালিয়ান স্থাপত্যের জমিদার বাড়ি। যা কিনা ইতিমধ্যেই নথিভুক্ত হয়েছে রাজ্যের পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে। তবে এ গ্রামে যেটা সবচেয়ে পুরনো তা হলো প্রায় ২০০ বছরের পাটের ব্যবসা। এ বাড়ির পাটের ব্যবসা সেকালের নিদর্শন বলা যেতে পারে। বসিরহাটের প্রাচীন জায়গাগুলোর মধ্যে ধান্যকুড়িয়া অন্যতম। রাস্তা জুড়ে বিশাল ফটক, দু’পাশে বৃত্ত স্তম্ভ। তার মাঝে ধনুকাকৃতি বিরাট ছাদ, যার মাথায় কোনও এক সাহেবের সিংহ বধের মূর্তি।
advertisement
পুরো ভিক্টোরিয়ান গড়নে তৈরি এই রাজবাড়ি যেনো স্বপ্নরাজ্য। ধান্যকুড়িয়ার সবচেয়ে প্রাচীন ‘গায়েন বাড়ি’।সেসব জানতে গেলে আমাদের পিছিয়ে যেতে হবে প্রায় আড়াইশো বছর আগে। ইতিহাস বলছে আজ থেকে প্রায় ২৫০ বছর আগে জমিদার মহেন্দ্রনাথ গায়েন তৈরি করিয়েছিলেন এই রাজবাড়ি। সেই থেকে এ বাড়ি ‘গায়েন বাড়ি’ নামে পরিচিত।
ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির একচেটিয়া আধিপত্য সে সময়ে রাজবাড়ির জন্য আশীর্বাদ স্বরূপ। জমিদারদের সঙ্গে সাহেবদের সম্পর্ক ভীষণ ঘনিষ্ঠ না হলেও শত্রুতা ছিল না। রাজবাড়ির পাটের ব্যবসা তাই চলত রমরমিয়ে। মূলত ইংরেজদের সঙ্গেই চলতো লেনদেন, যার ফলে ব্যবসা বেশ ফুলে ফেঁপে উঠেছিল। আর বলাই বাহুল্য, এ সমস্ত কারণে উত্তর চব্বিশ পরগনার এই প্রান্তে লেগে থাকত সাহেবদের আনাগোনা। তবে সেসব এখন পুরাতন হলেও এই ধান্যকুড়িয়া গ্রাম আজও প্রাচীন ইতিহাসের সাক্ষী হিসাবে ইতিহাস জানান দেয়।
জুলফিকার মোল্যা