এখন দামোদর নদে ভরা জল। একটানা বৃষ্টি ও দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে জল ছাড়ার ফলে দামোদর এখন ফুঁসছে। জালে উঠছে বড় বড় মাছ। পূর্ব বর্ধমানের গোহগ্রাম পঞ্চায়েতের দাদপুর গ্রামের কয়েক জন মাছ ধরার জন্য জাল ফেলেছিলেন। শনিবার রাতে সেই জাল গোটাতে যান তাঁরা। আর তখনই দামোদরের তলদেশে টের পাওয়া গেল আস্ত একটি দুর্গা মূর্তির অস্তিত্ব।
advertisement
স্থানীয় এক যুবক জানালেন, রাতে জাল গোটানোর সময় পায়ে শক্ত একটা জিনিস ঠেকে। প্রথমে মনে করেছিলাম কয়লার বড় টুকরো হতে পারে। এরপর কয়েকজন মিলে সেটিকে তুলে ধরি। বুঝতে পারি এটা কোনও দেবী মূর্তি। কি মূর্তি তা রাতের অন্ধকারে সেভাবে নিশ্চিত হওয়া সম্ভব হয়নি। আমরা মূর্তিটিকে সেখানেই রেখে জাল নিয়ে ফিরে আসি। রবিবার সকালে ফের গ্রামবাসীদের কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে সেখানে যাই। এরপর মূর্তিটিকে সেখান থেকে নিয়ে আসি। মূর্তিটিকে মন্দিরে রেখে পুজো করা হয়। দিনের আলোয় দেখে পরিষ্কার বুঝতে পারছি এটা একটা মহিষাসুরমর্দিনী মূর্তি।
জানা গিয়েছে, মূর্তি উদ্ধারের খবর পেয়ে গলসী থানার পুলিশ দাদপুর থানায় গিয়ে মূর্তিটি উদ্ধার করে নিয়ে আসে। ইতিহাস বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মূর্তিটি প্রাচীন হতে পারে। অতীতে দামোদরের গ্রাসে অনেক জনপদ মন্দির চলে গিয়েছে। সেই মন্দিরে হয়তো এই মূর্তিটি ছিল। আবার আশপাশের কোনও জায়গা থেকে তা ভেসেও আসতে পারে। মূর্তিটি দেখার পরেই তার প্রাচীনত্ব বা তা কোন পাথরে তৈরি তা নির্ণয় করা সম্ভব হবে। এই মূর্তিটি বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগ্রহশালায় রাখা যেতে পারে। সেখানে পূর্ব বর্ধমান জেলায় উদ্ধার হওয়া অনেক মূর্তিই রয়েছে। এই মূর্তিটি সেখানে নবতম সংযোজন হতে পারে।