আরও পড়ুন: শিক্ষিকার অভাবে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী ক্লাস নিচ্ছে প্রাথমিক স্কুলে!
জানা যায়, এখানেই নিম গাছের নীচে ছিল সেই রঘু ডাকাতের আরাধ্যা কালীর স্থান। ডাকাতিতে যাওয়ার আগে মায়ের থানে সিঁদুর-চন্দন নিবেদন করে পুজো দিত গোটা ডাকাত দল। তবে কালের নিয়মে বদলেছে সময়। পরবর্তীতে জঙ্গলে ঢাকা পড়ে যায় গোটা এলাকা। জানা যায়, এরপর ঊনবিংশ শতাব্দীর ছয়ের দশকের শেষের দিকে উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুর থেকে এক ব্রাহ্মণ এই স্থানে আসেন। জঙ্গল পরিষ্কার করে এখানেই আস্তানা গাড়েন তিনি। দিনের বেলায় ব্রাহ্মণ গান গেয়ে সময় কাটাতেন। স্থানীয়রা তাঁর গানে মুগ্ধ হয়ে তাঁকে একটি হারমোনিয়াম উপহার দিয়েছিলেন। পরবর্তীকালে তিনি হারমোনিয়াম বাবা নামে পরিচিত হয়ে ওঠেন।
advertisement
সেই হারমোনিয়াম বাবা ডাকাত কালীর থান সংস্কার করে তামার ফলকে দক্ষিণা কালীর মূর্তি খোদাই করেন। এলাকার মানুষজনের সহায়তায় এরপর হারমোনিয়াম বাবার উদ্যোগে কালী মন্দির ও তার দু’পাশে রাম-সীতার ও বজরংবলির মন্দির গড়ে তোলেন। সেই থেকে এখানে দেবীর নিত্য পুজো হয়। তাছাড়া কার্তিক মাসের অমাবস্যা তিথিতে এখানে উৎসব হয়। লোক মুখে শোনা যায়, দেবী এখানে জাগ্রত। মার কাছে কিছু চাইলে তা মা ভক্তদের দিয়ে থাকেন। আর তাই এখানে ইচ্ছে পূরণ হওয়ার পর ভক্তরা দু’হাত ভরে অনুদান দিয়ে থাকেন। সেই অনুদানের অর্থেই আজও চলে হারমোনিয়াম বাবার স্মৃতি বিজড়িত এই ডাকাত কালীমন্দির।
রুদ্রনারায়ণ রায়