আরও পড়ুন: শক্তি কমে গভীর নিম্নচাপে পরিণত, সিত্রাংয়ের তাণ্ডব শুধুমাত্র বাংলাদেশেই
মধ্য রাতেই সুন্দরবনের উপর দিয়ে বয়ে চলে যায় ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং। আর তাই ইতিমধ্যে বসিরহাট মহকুমার দশটি ব্লকের প্রত্যেকটি বিডিও অফিসে একটি করে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। সন্দেশখালি ১ ও ২ নং, হিঙ্গলগঞ্জ, হাসনাবাদ, হাড়োয়া ও স্বরূপনগর-সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় ঝড়ের পরিস্থিতির উপর নজর রাখার জন্য কন্ট্রোল রুম করা হয়েছে। যার মুখ্য কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে বসিরহাটের মহকুমা শাসকের দফতরে। যেখানে কন্ট্রোল রুমে রাতভর থেকে ঘূর্ণিঝড় পরিস্থিতির দিকে নজর রাখলেন রাজ্যের বনমন্ত্রী।
advertisement
সোমবার সন্ধ্যায় বসিরহাট মহকুমা শাসকের দফতরে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বসিরহাটের সেচ দফতর, বিদ্যুৎ দফতর পূর্ত ও পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে এক বৈঠক করেন। মন্ত্রী জানান, যেহেতু বিগত দিনগুলিতে ইয়াস এবং আমফানে সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল, তাই তাঁরা কোনওরকম ত্রুটি রাখতে রাজি নন।
সোমবার মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ১৯৩২৪ জনকে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার উপকূল এলাকা থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সাইক্লোন বাংলাদেশে চলে যায়৷ ভারতীয় সময় অনুযায়ী, সে দেশে রাত ৯টা থেকে ১১টার মধ্যে ল্যান্ডফল হয়। বাংলায় তার প্রভাব পড়েছে। হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত চলে বিভিন্ন জেলায়। তাই মমতার অনুরোধ ছিল, সবাই যেন ফ্লাড রিলিফ সেন্টারে প্রস্তুত থাকেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ''আপনারা এখনই ফিরবেন না। রিলিফ সেন্টারে থাকুন। সরকার যা ব্যবস্থা নিয়েছে, সেটা মেনে চলুন। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা জারি থাকবে। সবাই দেখে নেবেন ঝড় বৃষ্টি হলে বেরোবেন না৷ আবহাওয়া কাল থেকে ভালো হবে।"
আরও পড়ুন: একই পরিবারের তিন-সহ একাধিকের মৃত্যু বিধ্বংসী সিত্রাং-এ, বাংলাদেশে কী অবস্থা এখন
বাংলাদেশে ঝড় আছড়ে পড়লে, তার একটা প্রভাব অবশ্যই পড়ে বাংলাদেশ লাগোয়া সুন্দরবনে এই রাজ্যের অংশে। সুন্দরবন সন্নিহিত বসিরহাটে তাই ক্যাম্প করে ছিলেন রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।