সাইবার বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, অনলাইন শপিংয়ের সময় অনেকেই ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে পেমেন্ট করেন। সেই সময় ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ডের বিস্তারিত তথ্য দিতে হয়। সেই সময় অনেক প্ল্যাটফর্মই ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ডের তথ্য সেভ করার অপশন আসে। এই অপশনে ক্লিক করলে পরেরবার অনলাইন শপিং করার সময় আর ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ডের তথ্য দিতে হয় না। কিন্তু, এই সুবিধা-ই আপনার জন্যও সমস্যা হয়ে উঠতে পারে। যদি ওই প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে হ্যাকাররা আপনার ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ডের বিস্তারিত তথ্য হাতিয়ে নিতে পারে এবং সেটি ব্যবহার করে আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট করে দিতে পারে।
advertisement
নবগ্রামের বাগমারা এলাকার এক বাসিন্দা। ৫১ হাজার ১০০ টাকা প্রতারণা করা হয় তার কাছ থেকে। থানার অভিযোগের ভিত্তিতে সাইবার ক্রাইম বিভাগের সহায়তায় নবগ্রাম থানার তৎপরতায় সেই অর্থও ফেরত পাওয়া গেছে। আপনার অর্থ চলে গেলে কীভাবে ফেরৎ পাবেন মেনে চলুন বেশ কিছু নিয়ম ও পদ্ধতি। যদি অনলাইনে সস্তায় কোনও জিনিস বিক্রির অফার দিয়ে মেসেজ আসে, সেই লিঙ্কে ভুলেও ক্লিক করবেন না। যদি ভুলবশত ওই লিঙ্কে ক্লিক করেন, তাহলেও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বা আধার-প্যান তথ্য দেবেন না।
সাইবার প্রতারণার শিকার হলে কী করবেন?
যদি কোনওভাবে সাইবার প্রতারকদের খপ্পড়ে পড়েন, বুঝতে পারার সঙ্গে সঙ্গেই ভারত সরকারের হেল্পলাইন নম্বর ১৯৩০-এ ফোন করুন। অথবা সরকারি ওয়েবসাইট http://cybercrime.gov.in -এ গিয়ে অভিযোগ জানান।পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, লোন দেওয়ার নাম করে প্রতারিত হন নবগ্রামের বানিয়াপাড়া এলাকার ভরত চন্দ্র দাস। তার কাছ থেকে প্রায় ৪০ হাজার টাকা প্রতারণা করা হয়। ঘটনাটি নবগ্রাম থানায় অভিযোগ জানানো হলে, থানার তৎপরতায় ও সাইবার ক্রাইম ডিপার্টমেন্টের সহযোগিতায় সম্পূর্ণ অর্থ ফেরত দেওয়া হয় তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে।
অন্যদিকে, অনলাইনে মাল বুকিংয়ের নামে প্রতারণার শিকার হন নবগ্রামের বাগমারা এলাকার এক বাসিন্দা। ৫১ হাজার ১০০ টাকা প্রতারণা করা হয় তার কাছ থেকে। থানার অভিযোগের ভিত্তিতে সাইবার ক্রাইম বিভাগের সহায়তায় নবগ্রাম থানার তৎপরতায় সেই অর্থও ফেরত পাওয়া গেছে। এছাড়াও, নবগ্রামের পণ্ডি এলাকার বাসিন্দা জসিম শেখ ভুল ট্রানজেকশনের কারণে প্রায় ৬০ হাজার টাকা হারিয়েছিলেন। অভিযোগের পর নবগ্রাম থানার উদ্যোগে সেই অর্থও সফলভাবে ফেরত দেওয়া হয়েছে বলে জানান প্রাপক।





