অ্যাকাউন্ট না থাকায় বাধ্য হয়েই গচ্ছিত টাকা ভাঙিয়ে নিচ্ছেন যৌনকর্মীরা। ঘরে টাকা আছে কিন্তু উনুন জ্বলছে না, শিশুদের খাবার কেনার পয়সাও মিলছে না অনেক সময়। উপায় নেই, নোটের এই ডামাডোলে গ্রাহক কমেছে যৌন জন বস্তিতে । গ্রাহক এলেও সেই ৫০০-১০০০ টাকার অচল নোট নিয়ে সমস্যায় পড়ছেন যৌনকর্মীরা। অ্যাকাউন্ট না থাকলেও ব্যাঙ্কে গেলে বাতিল নোট ভাঙিয়ে চার হাজার পাওয়া যাচ্ছে। সমাজ থেজে দূরে থাকা শেওড়াফুলি গরবাগানের যৌন কর্মীরা অভ্যাসের কারনে ব্যাঙ্কে যেতে কুন্ঠা বোধ করছেন,তার সুযোগেই নোট দালাল চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে।
advertisement
এর থেকে থেকে কিছুটা বিপরীত চিত্র দেখা গেল কলকাতার সোনাগাছিতে ৷ নোট বাতিলের জেরে যখন দেশের বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে সেখানেই রমরমিয়ে চলছে সোনাগাছির ব্যবসা ৷ খুচরোর অভাবে যেখানে সাধারণ মানুষের মাথায় হাত সেখানেই চুটিয়ে ব্যবসা চলছে নিষিদ্ধপল্লীতে ৷ মোদির ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিলর প্রভাব পড়েনি দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় রেড লাইট এলাকায় ৷
দুর্বার মহিলা সমন্বয় কমিটি’র চিফ মেন্টার ভারতী দে জানিয়েছেন, ‘সোনাগাছির ব্যবসায় নোট বাতিলের কোনও প্রভাবই পড়েনি ৷ এর মূল কারণ সোনাগাছির যৌন কর্মীরা নোট বাতিল হওয়ার পরও কাস্টমারদের কাছ থেকে ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট নিচ্ছেন ৷ পরে যৌনকর্মীদের জন্য তৈরি উষা মাল্টিপার্পাস কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের মাধ্যমে সেই টাকা ভাঙিয়ে নিচ্ছেন তারা ৷