গত কয়েক বছর আগে পর্যন্ত এলাকার অধিকাংশ কৃষক পরিবার ধান চাষের সঙ্গে যুক্ত ছিল। ধান চাষে লাভের পরিমাণ কম হওয়ায় ধানের সঙ্গে অন্যান্য ফসল চাষ শুরু হয়। সেইসব চাষের মধ্যে অন্যতম হলেও শসা চাষ। বর্তমানে এলাকার অধিকাংশ কৃষক ধান চাষের পাশাপাশি শীতে শসা চাষের সঙ্গে যুক্ত। জগৎবল্লভপুরের পাতিহাল গ্রামের কৃষক পরিবারগুলি ৫-১০ কাঠা বা বিঘা জমিতে শসার চাষ হচ্ছে। একটানা কয়েক মাস শসা বিক্রি। তারপর গরমের রেস পড়লে পাকা শসা থেকে দানা তৈরির হিড়িক দেখা যায় গ্রামে। এই সময় গ্রামে পুরুষ মহিলা গায়েগতরে পরিশ্রম করে দানা তৈরির কাজে ব্যস্ত থাকেন। মাঠেই পাকা শসা কেটে দানা বের করে জলে ধুয়ে পর পর কয়েকদিন রোদে শুকিয়ে নেওয়ার পর বাজারজাত হয় বীজ দানা।
advertisement
আরও পড়ুন: হাওড়ায় প্রথম অ্যাডভেঞ্চারাস স্পোর্টস কায়াকিং ওয়ার্কশপ! দারুণ আগ্রহ দেখল বাংলার মানুষ
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
কঠোর পরিশ্রম হলেও ৩-৪ মাসে শসা চাষে কিছুটা লাভের মুখ দেখেন কৃষক পরিবার। শীতের সমস্ত ফসলের থেকে শসা চাষে তুলনামূলক লাভ বলেই জানাচ্ছেন স্থানীয় কৃষক। তার জেরে গত ১০-১৫ বছরে শসা চাষের পরিমাণ বেড়েছে এলাকায়। তবে গত শসার দানার দাম কিছুটা কম। কেজি প্রতি ১৩০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এই দানা গত কয়েক বছর আগে ২০০০ টাকার বেশি দামে বিক্রি হয়েছে।
স্থানীয় কৃষকরা জানাচ্ছেন, বর্তমানে চাষ প্রায় অলাভজনক হয়ে পড়েছে। অন্যান্য সব চাষে কঠোর পরিশ্রম করেও খরচ ঠিক মত তোলা সম্ভব হয় না। তবে শসা চাষ করে দানা বিক্রি করলে সারা বছরে কিছুটা আয়ের মুখ দেখেন কৃষক। কৃষকরা আরও জানান, সরকারিভাবে যদি দানা বিক্রিতে সহযোগিতা করা হয় তাহলে আরও বেশি লাভের পরিমাণ বাড়তে পারে।
রাকেশ মাইতি





