আরও খবর : হাতিদের করিডরে যুক্ত হতে চলেছে পূর্ব বর্ধমান, ভাবনা বন দফতরের
কয়েকদিন কুমিরটিকে সেভাবে দেখা যাচ্ছিল না। তাই সে এলাকা ছেড়েছে বলে মনে করছিলেন বাসিন্দারা। রবিবার হঠাৎই তার দেখা মেলে। কালনা ও শান্তিপুর ঘাটের মাঝে গঙ্গায় তাকে দেখেন নৌকোর যাত্রীরা। পরে তাকে ফের শান্তিপুর ঘাটের দিকেও দেখা যায়। এর আগে কুমিরটি পূর্ব বর্ধমান ও নদিয়া জেলার মাঝে পাটুলি এলাকায় গঙ্গাতে অবস্থান করছিল। সে সময় তার অভিমুখ কালনার দিকে থাকছে বলেও বন দপ্তরের নজরদারিতে ধরা পড়েছিল।
advertisement
আরও খবর : বারো দিন মাত্র বয়স! হস্তি শাবকের হাঁটাচলা, শৃঙ্খলাবোধ দেখে অবাক বহু মানুষ
বন দপ্তর আধিকারিকরা জানিয়েছেন,কুমিরটির গতিবিধির ওপর সর্বক্ষণ নজর রাখা হচ্ছে। জলপথে নজরদারি চলছে। আপাতত কুমিরটি সুস্থই রয়েছে। স্বাভাবিক আচরণে দেখা যাচ্ছে তার মধ্যে। এখন পর্যন্ত হিংস্রতার তেমন কোনও লক্ষণ তার মধ্যে দেখা যায়নি। তবে তার অভিমুখ এখন হুগলির দিকে। গত দু সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে পূর্ব বর্ধমান জেলায় গঙ্গায় রয়েছে কুমিরটি। প্রথম তার দেখা মিলেছিল মুর্শিদাবাদ জেলায়। এর পর পূর্বস্থলিতে তাকে পাড়ে উঠে রোদ পোহাতে দেখা গিয়েছে। উৎসাহীদের অনেকেই কুমির দেখতে ভিড় করেন। কুমিরের রোদ পোহানোর ছবি মোবাইল ফোনের ক্যামেরায় তুলেও রাখেন অনেকে। বেশ কিছুক্ষণ রোদ পোহানোর পর জলে নেমে যায় কুমিরটি।
আরও খবর : হাতির পাল আবার ফিরে আসবে না তো? এখনও উদ্বেগে পূর্ব বর্ধমানের বাসিন্দারা
বন দফতরের আধিকারিকরা বলছেন, গঙ্গার এই অংশের আবহাওয়া কুমিরের পক্ষে অনুকূল। এখানের জলের দূষণও তুলনামূলক ভাবে কম। তাই হয়তো কুমিরটি এই এলাকায় থাকতে পছন্দ করছে। তবে তাকে সুস্থ অবস্থায় সমুদ্রে পাঠানোই মূল লক্ষ্য। বাসিন্দারা যাতে তাকে উত্যক্ত করতে না পারে সেদিকেও নজর রাখা হচ্ছে। এর আগে বাসিন্দাদের সতর্ক ও সচেতন করতে গঙ্গা তীরবর্তী এলাকায় মাইক নিয়ে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রচারও চালানো হয়েছে।