দুদিন আগেই প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকা টেন্ডারে ফিরোজ হোসেন নামে এক ব্যক্তিকে ওই টোল চালু করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। বুধবার দুপুরের পর সেই টোল অফিসে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। তাদের হামলায় টোল আদায়ের কাজে যুক্ত ছয় কর্মী জখম হয়। এরপর টোল অফিসে আগুন ধরিয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা। ঘটনার তদন্ত শুরু করে পুলিশ।
advertisement
কর্মীদের মারধর করে পাশাপাশি দু'টি টোলের অফিসে আগুন লাগানোর অভিযোগ উঠেছে ওই দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। বুধবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে খণ্ডঘোষের শশঙ্গায়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জখমদের মধ্যে এক জনকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ পাঠানো হয়েছে। পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৩ মার্চ ই-নিলামের মাধ্যমে টোলটির বরাত পান ফিরোজ হোসেন। তিনটি জায়গা থেকে টোল আদায় করবেন, এই শর্তে ই-নিলামে চার কোটি ৪৫ লক্ষ টাকা দর দিয়েছিলেন। সর্বোচ্চ দর দেওয়ায় তিনিই টোলের দায়িত্ব পান।
শশঙ্গা পঞ্চায়েতের প্রধান প্রকাশ ঘোষ বলেন, টোল আদায়ের অফিসে কেন হামলা চালানো হল, তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে। পঞ্চায়েত সূত্রে জানা যায়, এলাকায় দামোদরের উপরে অনেকগুলি বালি খাদান রয়েছে। মূলত বালির গাড়ি থেকে টোল আদায় করার জন্য ই-নিলাম করা হয়েছিল।
ফিরোজ হোসেনের অভিযোগ, পঞ্চায়েতকে পুরো টাকা বুঝিয়ে দেওয়ার পরে টোলের দায়িত্ব নিয়েছি। টোল আদায়ের জন্য ২০-২৫ জনকে নিয়োগ করা হয়েছে। কর্মীদের থাকা- খাওয়ার জন্যে পাশেই অস্থায়ী ঘর করা হয়। এ দিন দুপুর আড়াইটে নাগাদ দু'টি টোল কাউন্টারের অফিসে এক দল দুষ্কৃতী চড়াও হয়। কর্মীদের মারধর, মোটরবাইক ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে।
আরও পড়ুন, কুন্তলের টাকাতেই কিনেছেন গাড়ি! ED-র দফতর থেকে বেরিয়ে জানালেন বনি সেনগুপ্ত
আরও পড়ুন, স্কুলে সন্তান পাঠিয়েও শান্তি নেই! মহিলা কর্মচারীর কুপ্রস্তাবের মেসেজ, পরে যা হল
তাঁর আরও অভিযোগ, লুটপাটও চালিয়েছে দুষ্কৃতীরা। জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, প্রাথমিক ভাবে আমাদের ধারণা, দোল উৎসব উপলক্ষে মদ খাওয়া নিয়ে তর্কাতর্কি এবং তা থেকেই আগুন লাগানোর ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দু'জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।