তাঁর বিরুদ্ধে আরও একাধিক অভিযোগ রয়েছে। মারজান হোসেন নামে একজনকে ডোমকল মহকুমা হাসপাতালে বদলি করে দেওয়ায় তাকে হেনস্থার শিকার হতে হয়। মারজানের বোন নার্গিস খাতুন রঘুনাথগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। এরপরেই শুক্রবার হাসপাতালের মধ্যেই কর্মরত অবস্থায় সিকিউরিটি ইনচার্জ সন্তু প্রামাণিককে মারধর করতে শুরু করে অন্যান্য নিরাপত্তারক্ষীরা।
খবর পেয়ে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ এসে তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স ইউনিয়নের সেক্রেটারি সামাদ শেখ বলেন, ‘সন্তু প্রামাণিকের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। কোনও কারন ছাড়াই নিরাপত্তারক্ষীদের বদলি করে দিচ্ছে। যার কারনে অনেককেই হেনস্থা হতে হচ্ছে। থানায় অভিযোগও করা হয়েছে। ওই সিকিউরিটি ইনচার্জের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ গ্রহন করা না হলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামব।’
advertisement
যদিও এই অভিযোগ সম্পূর্ন অস্বীকার করেছেন সিকিউরিটি ইনচার্জ সন্তু প্রামাণিক। তিনি বলেন, “আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। কোম্পানির নির্দেশ মতোই নিরাপত্তারক্ষীদের বদলি করা হয়েছে।” এই ঘটনার অত্যন্ত নিন্দা প্রকাশ করেন জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালের সুপার অবিনাশ কুমার। তিনি বলেন, “এই ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয়। কাউকে মারধর করে আইন হাতে নেওয়া উচিত হয়নি। আমি সমস্ত ঘটনা খতিয়ে দেখছি।” অভিযোগ, কারণ ছাড়াই ইচ্ছাকৃতভাবে হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষীদের বদলি করে দেওয়ায় সিকিউরিটি ইনচার্জকে বেধরক মারধর করল অন্যান্য নিরাপত্তারক্ষীরা।
আরও পড়ুন, ‘একুশে জুলাইয়ের সভাও বন্ধ করে দেব!’ কেন হুঁশিয়ারি দিলেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি?
আরও পড়ুন,কাউন্সেলিং প্রক্রিয়ায় ক্রমশই বেড়ে চলেছে অনুপস্থিতির সংখ্যা, উদ্বিগ্ন স্কুল সার্ভিস কমিশন
শুক্রবার এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতাল চত্বরে। জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে ১২৬ জন নিরাপত্তারক্ষী কর্মরত রয়েছে।
অভিযোগ হাসপাতালের সিকিউরিটি ইনচার্জ সন্তু প্রামাণিক টাকার বিনিময়ে নিরাপত্তারক্ষীদের কাজ দেন। এরপর ইচ্ছাকৃতভাবে নিরাপত্তারক্ষীদের অন্য হাসপাতালে বদলি করে দিচ্ছেন। তার বিরুদ্ধে আরও একাধিক অভিযোগ রয়েছে।