ঘটনার পরেই ব্যাটারা থানা, লিলুয়া ও গোলাবাড়ি থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে, পাশাপাশি হাওড়া সিটি পুলিশের গোয়েন্দারা দুষ্কৃতীদের খোঁজে তদন্ত শুরু করেছে | পুলিশ সূত্রে খবর, রাজেন্দ্র পন্ডিত নামে ওই ওয়াইন শপের ব্যবসায়ী প্রতিদিনের মত টাকা জমা করতে বেনারস রোডের বামুনগাছির একটি রাষ্ট্রায়াত্ব ব্যাঙ্কে টাকা জমা দিতে যাচ্ছিলেন। মাঝরাস্তায় পেছন থেকে তাঁকে আক্রমণ করে দুষ্কৃতীরা।
advertisement
আক্রান্ত ব্যবসায়ী বলেন, ‘দুষ্কৃতীরা তিনজন ছিল। পেছন থেকে একজন মাথায় সজোরে পিস্তল দিয়ে আঘাত করে। আমার বাঁ হাতে টাকার ব্যাগ ছিল। আমি দিতে রাজি না হওয়ায় আমায় এক যুবক বলে না দিলে গুলি করে দেব। এরপরেই আমার হাত থেকে টাকা ভর্তি ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে চম্পট দেয় ওরা।”
রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় লুটিয়ে পরে রাজেন্দ্র বাবু, এরপর রাস্তা দিয়ে বন্দুক উঁচিয়ে দৌড়তে থাকে দুষ্কৃতীরা, স্থানীয়দের দাবি, তাঁরা দুষ্কৃতীদের ধাওয়া করলেও হাতে আগ্নেয়াস্ত্র থাকার সুবিধা নিয়ে তারা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
আরও পড়ুন: বছরে আয় ১০ লক্ষ টাকা! ‘এই ভাবে’ বিশেষ উপায়ে চাষ করেই তাক লাগাচ্ছেন মহারাষ্ট্রের মহিলা কৃষক
হাওড়া পুরসভার পাইপ লাইনের কাজ চলছে এই এলাকায়, যান নিয়ন্ত্রণের জন্য সব সময় ট্রাফিক পুলিশ রয়েছে সেখানে, পুলিশের সামনেই এই ধরণের ঘটনায় আতঙ্কিত এলাকার মানুষ। স্থানীয় ব্যবসায়ীদের দাবি, ইন্ডাস্ট্রিয়াল এলাকা হলেও পুলিশের নজরদারি সিসিটিভি নেই গোটা এলাকায়, পুলিশও ঘটনাস্থলে পৌঁছে একের পর এক কারখানা, দোকানের সিসিটিভি খতিয়ে দেখে দুষ্কৃতীদের শনাক্তকরণের কাজ শুরু করেছে | ব্যবসায়ী রাজেন্দ্র বাবুর দাবি, দুষ্কৃতীরা পায়ে হেঁটেই এসেছিল এমনকি তাদের কারও মুখ ঢাকা ছিল না। জনবহুল এলাকায় এমন ঘটনায় হাওড়া সিটি পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন চিহ্ন?