সামাজিক মাধ্যমে বেসরকারী সংস্থায় লোভনীয় চাকরীর টোপ দিয়ে আর্থিক প্রতারণা করা হয়েছিল অনেকের সঙ্গে। সেইসব অভিযোগের ভিত্তিতে বর্ধমান সাইবার থানা ও মেমারি থানার যৌথ অভিযানে ২ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। মেমারি থানা ও বর্ধমান সাইবার থানার যৌথ অভিযানে মেমারি থেকে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়।ধৃতদের বর্ধমান আদালতে পেশ করা হয়। ধৃত সমীরণ মণ্ডলের আদি বাড়ি নদীয়ার তাহেরপুর থানার বীরনগর এলাকায়। মেমারির শ্রীদুর্গাপল্লী এলাকায় সে শ্বশুর বাড়িতে থাকত। ধৃত সুমিত রায়ের বাড়ি মেমারি থানার কৃষ্ণবাজার এলাকায়।
advertisement
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সামাজিক মাধ্যমে পেজ তৈরি করে বেসরকারি ব্যাঙ্কের লোভনীয় পদের টোপ দিয়ে বিজ্ঞাপন দিত সমীরণ। বিজ্ঞাপনের নীচে দেওয়া হতো ফোন নম্বর। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা ব্যক্তিদের প্রথমে রেজিস্ট্রেশনের নাম করে সুমিতের অ্যাকাউন্টের কিউ আর কোড পাঠানো হতো। ধৃতরা ফিশিং কল ও এসএমএসের মাধ্যমে যোগাযোগ করত একাধিক ফোন নম্বর ব্যবহার করে।একটি ফোন নম্বর প্রতারকরা একটি বিজ্ঞাপনের জন্য ব্যবহার করত। ফোন নম্বরটি এনসিআরপি পোর্টালে রিপোর্ট হয়ে ব্লক হয়ে গেলে প্রতারকরা আবার একটি বিজ্ঞাপন তৈরি করে নতুন ফোন নম্বর দিত। এইভাবেই রেজিস্ট্রেশন, সিকিউরিটি ডিপোজিটের নাম করে মোটা অঙ্কের টাকা হাসিল করত প্রতারকরা।
আরও পড়ুন-একটুর জন্য প্রাণে বাঁচলেন নোরা ফতেহি, ভয়ঙ্কর বিধ্বংসী আগুনে পুড়ে ছাই সব, ঠিক আছেন তো নায়িকা?
দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ন্যাশনাল সাইবার ক্রাইম রিপোর্টিং পোর্টাল অর্থাৎ এনসিআরপি-তে একাধিক অভিযোগ জমা পড়ে। সেই অভিযোগের তদন্ত নেমে প্রতারিতদের কাছ থেকে পাওয়া ফোন নাম্বারগুলি যাচাই করে দেখা যায় পূর্ব বর্ধমান জেলা থেকে এই ফোনগুলি করা হয়েছে।এনসিআরপি থেকে বর্ধমান সাইবার থানাকে জানানোর পর সাইবার থানা স্বতঃপ্রণোদিত মামলার রুজু করে।এরপর মেমারি থানা ও পূর্ব বর্ধমান সাইবার ক্রাইম থানা যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে মেমারি থেকে সমীরন মণ্ডল ও সুমিত রায়কে গ্রেফতার করে।